
শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | অপরাধ জগত | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত : মানিকগঞ্জ হাসপাতালের সেই হিসাবরক্ষক বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত : মানিকগঞ্জ হাসপাতালের সেই হিসাবরক্ষক বরখাস্ত
Bijoynews : “হিসাবরক্ষকের ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে”- শিরোনামে সম্প্রতি মানবজমিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদ এর বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ১২ বিধি মোতাবেক সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি-মোতাবেক খোরপোষ ভাতাদি পাবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে গত বছরের ৯ই সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন ওই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী। এর প্রেক্ষিতে ২৮শে অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম মুজহারুল ইসলাম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেন।
তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদ কোটেশনের মাধ্যমে ৪২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ইউজার ফি’র ২ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪০ টাকা, জেনারেটরের জ্বালানি তেল ক্রয়ের নামে ৪ লাখ, ৫৮ হাজার ১৯১ টাকা, হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতার নামে ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাসা ভাড়ার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরকারি খাত থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাত ও উপখাতে স্থানীয় কোটশনের তুলনামূলক বিবরণীতে কোটেশন কমিটির সদস্য-সচিব ডা. মো. লুৎফর রহমানের স্বাক্ষর না থাকলেও জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে রক্ষিত অর্থ উত্তোলিত বিলে তার জাল স্বাক্ষর পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে হাসপাতালের বাসা ব্যবহার করলেও তার ভাড়া সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি।পরিশোধ করেনি বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলও।
বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদ বলেন, ওয়ানসাইড তদন্ত রিপোর্টের আলোকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি পুনঃ তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানান।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইফুর রহমান বলেন, হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষর যুক্ত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ তিনি পেয়েছেন। বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষক সৈয়দ মো. মাহমুদ ফুয়াদকে বিষয়টি অফিসিয়ালভাবে জানানো হয়েছে।