
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ক্রাইম রির্পোট | শিরোনাম » উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপ-সচিবকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপ-সচিবকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
বিজয় নিউজ : জন-প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (ওএসডি) ড. মোহাম্মদ আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গতকাল রাজধানীর নিউ সার্কুলার রোডস্থ বড় মগবাজারের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন দুদকের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ড. মোহাম্মদ আমিন ২০১৪ সালের ২৯শে অক্টোবর দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বলে অনুসন্ধানকালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী গত ২০শে জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ড. মোহাম্মাদ আমিন চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার চন্দনাইশ গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে। এদিকে মগবাজার ডাক্তার গলির নিজ বাসা থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানকেও আটক করেছে দুদক। তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন,অঞ্চল-১ এর সাবেক সহকারী প্রকৌশলী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দয়াগঞ্জ সুইপার কলোনি গ্রুপ ‘খ’ এর নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারপূর্বক সঠিক নকশা মোতাবেক দালান নির্মাণ না করে ঠিকাদারের যোগসাজশে ১ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে ১৩ই মে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মজিবুর রহমানকে আটক করেন দুদকের উপ-পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম। এছাড়া কুমিল্লা জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটর আবদুুল বারেককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গতকাল কার্যালয় থেকেই দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ তাকে আটক করেন। এর আগে তিনি বি-বাড়িয়া জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটর ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি পেনশনারদের নামে জমাকৃত অর্থ সোনালী ব্যাংক বি-বাড়িয়া শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংক থেকে উত্তোলন-পূর্বক ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে গত বছরের ১২ই অক্টোবর বি-বাড়িয়া মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার মোট আসামি ২২ জন।