
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়ার সংবাদ | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম | স্পেশাল রির্পোট | স্বাস্থ্য সংবাদ » কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতাল এখন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য-৪ রোগীদের আতংকের আরেক নাম ‘ফ্রি স্যাম্পুল’
কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতাল এখন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য-৪ রোগীদের আতংকের আরেক নাম ‘ফ্রি স্যাম্পুল’
॥ শামসুল আলম স্বপন ॥
‘ফ্রি স্যাম্পুল” শব্দটা চিকিৎসা মহলে বেশ পরিচিত। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী তাদের নতুন প্রোডাক্ট বেশী কাটতির জন্য রিপ্রেজেন্টিভের মাধ্যমে চিকিৎসকদের জন্য বেশকিছু সামগ্রী ( যেমন প্যাড,কলম,ডেক্সক্যালেন্ডার,ওষুধ,সাবান,রুমস্প্রে,ডাইয়েরী,সেন্ট,বডি
স্প্রে ) ইত্যাদী যা ফ্রি দেন তাকে ঘুষের পরিবর্তে “ফ্রি স্যাম্পুল” বলা হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কুষ্টিয়া ২৫০ হাসপাতালের রোগীদের আতংকের এক নাম “ফ্রি-স্যাম্পুল” ! এদের পদবী কেন “ ফ্রি-স্যাম্পুল ” তা জানা যায়নি। রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ রোগী হাসপাতাল ছাড়ার সময় হাজির হয় এরা। দাবি করে টাকা । তাদের সহযোগিতা করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে উপস্থিত নার্সরা।
হাসপাতাল থেকে যতই ছাড়পত্র পাক রোগীবার করতে হলে এদের টাকা না দিয়ে কেউ বের হতে পারবে না। কিসের জন্য টাকা দিতে হবে প্রশ্ন করতেই তারা উত্তর দেয় আমরা পেয়ে থাকি। একশ,দুই,তিনশ ,পাঁচশ যার কাছ থেকে যেমন করে আদায় করে নিতে পারে তারা। জানাগেছে ফ্রি-স্যাম্পুলরা সারাদিনে যে টাকা চাঁদাবাজি করে তার অর্ধেক যায় ওয়ার্ডমাষ্টারের পকেটে । বাকি টাকা ভাগ হয় ফ্রি-স্যাম্পুল খ্যাত নারী ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্সদের মাঝে।
ওয়ার্ডমাষ্টারের কল্যাণে প্রায় ২ ডজন ফ্রি-স্যাম্পুল রয়েছে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতালে । রিতা,সখিনা,শিমু,আলেয়া এই ৪ জন “ফ্রি-স্যাম্পুল” ওয়ার্ডমাষ্টারের কালেক্টর । তারা হিসাব রাখে কোন ওয়ার্ডে ফ্রি-স্যাম্পুলের নামে কতটাকা চাঁদাবাজি হলো। ইচ্ছে করলেই যে কেউ ফ্রিতে “ফ্রি-স্যাম্পুল ” হতে পারবে না। “ফ্রি-স্যাম্পুল” হতে হলে আগে নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে ওয়ার্ডমাষ্টারের সাথে । নিয়োগ পেতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুজে দিতে হবে ওর্য়াড মাষ্টারের পকেটে । তারপর গোপন কোড নম্বর দিয়ে তাকে বানিয়ে দেয়া হবে “ফ্রি-স্যাম্পুল”। এ সব ঘটনা আরএমও’র জ্ঞাত সারে ঘটে থাকে এমন কথা বলেছে সংশ্লিষ্টরা।
২জন রোগীর অভিযোগ তাদের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে । রাতে ঘুমের ঘোরে চুরি হয় রোগী জিনিসপত্র । কারা নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার জবাব দিতে বাধ্য নয়। সরকারের অনুমোদন বিহীন “ফ্রি-স্যাম্পুলরা” এমন অনৈতিক কাজ করতে পারে বলে ভুক্তভোগিদের বিশ্বাস ।