
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিক্ষা সংবাদ | শিরোনাম » জুম বাংলাদেশ’র স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্কার করল গাইবান্ধা কলেজ ক্যাম্পাস
জুম বাংলাদেশ’র স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্কার করল গাইবান্ধা কলেজ ক্যাম্পাস
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ক্যাম্পাসকে পরিস্কার রাখতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জুম বাংলাদেশ’ গাইবান্ধা শাখার উদ্যোগে ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টাব্যাপী গাইবান্ধা সরকারি কলেজে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে জুম বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা।
ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সংগঠনের চীফ কো-অর্ডিনেটর মো. রাজীব সরকার। এরপর স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের রাস্তার দুইপাশ, খেলার মাঠ, পত্রিকা ফলক, মসজিদ, শহীদ মিনার চত্বর, পুকুরপাড়সহ ভবনগুলোর প্রবেশমুখ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে।
ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নেতৃত্ব দেন জুম বাংলাদেশ গাইবান্ধা শাখার সমন্বয়ক মো. মেহেদী হাসান ও এনটি স্মরণ। এতে অংশ নেন- পান্না ভট্টাচার্য, রিয়ামনি, শারমিন খাতুন, কারিমুন আক্তার, সামিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান অন্তর, তানান হাসান, রাইয়ান রিফাত, এরশাদ হোসাইন, নাহিদ হাসান, কেয়া রানী, ইরা, জুয়েল সরকার, তারভীর আহমেদ, মুন্তাকির রহমান, মিমজু আক্তার, শর্মিলা নদী, লিমা দেব, সাজিয়া আজম প্রমুখ।
এ বিষয়ে মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্য করছি কলেজ ক্যাম্পাস প্রায়ই অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকে। ডাস্টবিন থাকার পরও অসচেতনতার কারণে শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা যেখানে সেখানে কাগজ, পলিথিন, খাবার প্যাকেট, বাদামের খোসা ফেলে দেন। এতে করে বিভিন্নস্থানে ময়লা-আবর্জনা স্তুপ হয়ে থাকে। যা পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও ক্ষতিকর। আর তাই সকলকে সচেতন ও নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম।
বাংলাদেশের কমিউিনিস্ট পার্টির গাইবান্ধা
জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের কমিউিনিস্ট পার্টি (সিপিবি) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পার্টির জেলা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি জেলা সভাপতি মিহির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। আলোচনায় অংশ নেন- জেলা কমিটির সদস্য সাবেক জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাবেক জেলা সভাপতি এ্যাড. শাহাদৎ হোসেন লাকু, সুভাষ শাহ রায়, এ্যাড. মুরাদ জামান রব্বানী, তাজুল ইসলাম, সুপ্রিয়া দেব, প্রতিভা সরকার ববি, অশোক আগরওয়াল, বনা রানী, যজ্ঞেশ্বর বর্মণ প্রমুখ।
সভায় দেশের এবং গাইবান্ধার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গাইবান্ধায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডের বিচার, গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অবিলম্বে ডাক্তার নিয়োগ, ফোরলেন রাস্তার কাজের অনিয়ম বন্ধ এবং বালাসীঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানান বক্তারা।
সম্প্রতি গাইবান্ধা পৌরসভা কর্তৃক গ্রাহকদের পানির বিল বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির কারণে যখন মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে, সেইসময় পানির বিল দ্বি-গুন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অমানবিক। অবিলম্বে বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।