
বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | রাজনীতি | শিরোনাম » গোবিন্দগঞ্জের ফুটফুটে ছোট্ট শিশু ফালাক বাঁচতে চায়
গোবিন্দগঞ্জের ফুটফুটে ছোট্ট শিশু ফালাক বাঁচতে চায়
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউয়িনের শ্রীপতিপুর গ্রামের মো. আহাদুল ইসলাম ফারুকের ছেলে মিনার আল ফালাক বয়স সাত মাস বাঁচতে চায়। ফালাক এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। হার্ট ফুটো হয়ে যাওয়ায় শিশুটির চোখে মুখে এখন বাঁচার আকুতি।
জন্মের পর থেকেই ফালাক-এর হার্টে সমস্যা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মাঝে মধ্যেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। উচ্চ শব্দে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান হার্টে ফুটা আছে। বড় ধরনের অপারেশন করতে হবে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। শিশুটির বাবা নিম্নআয়ের আহাদুল ইসলাম ফারুকের পক্ষে অপারেশনসহ চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
শিশুটির বাবা ফারুক বলেন, ‘চিকিৎসকরা ফালাককে বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু এতদিন দেশের মধ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়েই ধারদেনাসহ সম্ভাব্য সব টাকার উৎস শেষ হয়ে গেছে। দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন কীভাবে কী করবো! ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’
শিশুটির জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর বিকাশ (পারসনাল) নম্বর- ০১৭৬২-৭৬৪০০১, নগদ (পারসনাল) নম্বর-০১৭৭৮-০৭৭৬৬৪ অথবা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৫১১১০০১০১৩৩৪৯, মহিমাগঞ্জ শাখা, গাইবান্ধা এই নম্বরেও টাকা পাঠানো যাবে।
গোবিন্দগঞ্জে এপিপি দম্পতিসহ ১০জন জেল হাজতে
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় এপিপি মিজানুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ ১০ জনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ প্রদান করেন। আটককৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌকি আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মোহাম্মদ আলী সরকার, মোখলেছুর রহমান, মন্নু মিয়া, মুনমুন বেগম, নিজাম উদ্দিন, দোলেনা বেগম, নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, তোজাম্মেল হক বুধবার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
অভিযোগ জানা গেছে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে মনোয়ারা বেগমকে নিয়োগের জন্য তারা সহায়তা করে। এ ঘটনায় উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত শামছুল রহমানের ছেলে খাইরুল বারী অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেমন (পিবিআই)-এর উপ-পরিদর্শক শাহ্ আলম দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
উল্লেখ্য; উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পরিতোষ শর্মাকে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিজাইটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগমের অসহযোগিতার কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। পরে তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়।
সুন্দরগঞ্জে জামায়াত সভাপতিসহ গ্রেফতার ৪
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নের জামায়াত সভাপতিসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের সুরুত আলীর মোড় নামকস্থানে মিছিল করাসহ নাশকতামুলক কর্মান্ডের পরিকল্পনা করার অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতারর করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শান্তিরাম পরান গ্রামের নুরুজ্জামান সরকারের ছেলে শান্তিরাম ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি সুজা মিয়া, পূর্ব বেলকা গ্রামের কাজির উদ্দিনের ছেলে বেলকা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, শান্তিরাম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলামের ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম। এনিয়ে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ৩০ জন নামিও আসামি ও ৩০-৪০ জন বেনামিও আসামি করে নাশকতা মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, সরকার বিরোধী মিছিল এবং নাশকতামুলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।