
মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | বক্স্ নিউজ | শিক্ষা সংবাদ | শিরোনাম » ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পর্দা টানিয়ে চলছে আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস!
ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পর্দা টানিয়ে চলছে আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস!
ছাত্রীরা শুধুমাত্র নারী শিক্ষক অথবা ‘ভালো চরিত্রের বৃদ্ধ শিক্ষকের’ কাছে পড়তে পারবে
তালেবানরা আফগানিস্তানে আগের তুলনায় মধ্যবর্তী ও নমনীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশটির নারীদের অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি তালেবান এক নির্দেশনা জারি করে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারীদের অবশ্যই “আবায়া” এবং “নিকাব” পরতে হবে।
আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা আমাজ নিউজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়েছে কিন্তু “মাঝখানে পর্দা” দিয়ে।
আমাজ নিউজের এক টুইটার পোস্টে দেখা যায়, ক্লাসের একপাশে ছাত্রীরা ও অন্যপাশে ছাত্ররা বসে ক্লাস করছে। তাদের মাঝে পর্দা দেওয়া।
আফগানিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা তালেবানদের নির্দেশিত শিক্ষা নীতি এটি। পূর্বেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তালেবান জানিয়েছে, তাদের নারী শিক্ষায় কোনো সমস্যা নেই, “কিন্তু নারীদের হিজাব পরে পড়াশোনা করতে হবে।”
শনিবার জারি করা একটি দীর্ঘ আদেশে, তালেবানরা বেসরকারি আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারীদের আবায়া এবং নিকাব পরার নির্দেশ দেয়। তারা আরও জানায়, শ্রেণিকক্ষে অবশ্যই নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্দা দিয়ে বিভক্ত করা থাকতে হবে।
তালেবানের নির্দেশ অনুযায়ী, ছাত্রীদের শুধুমাত্র নারী শিক্ষক দ্বারাই পড়ানো উচিত। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে “ভাল চরিত্রের বৃদ্ধ শিক্ষকের” কাছেও পড়তে পারবে। এছাড়া, নারী শিক্ষার্থীদের পুরুষ শিক্ষার্থীদের চেয়ে ৫ মিনিট আগে পড়া শেষ করতে হবে।
তালেবান জানিয়েছে, এসব নির্দেশনা ২০০১ সালে তাদের ক্ষমতা শেষ হওয়ার পর গড়ে ওঠা প্রাইভেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য। তবে, তখন নারীদের কোথাও বের হলে পুরুষসঙ্গী সঙ্গে রাখা এবং শ্রেণিকক্ষে নারী-পুরুষ একসঙ্গে পড়তে না পারার বাধ্যবাধকতা থাকায় বেশিরভাগ নারীকেই শিক্ষা থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে আফগানিস্তানে কলেজ ও উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।