
রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ চিত্র | ক্রাইম রির্পোট | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি » কোটচাঁদপুরে বকুল সিটি পার্কের গোপন ঘরে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ পলাতক ১
কোটচাঁদপুরে বকুল সিটি পার্কের গোপন ঘরে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ পলাতক ১
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বকুল সিটি পার্কে নিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাব্বির নামের এক ধর্ষককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) কোটচাঁদপুর উপজেলার দোয়া ইউনিয়নের বকুল সিটি পার্কে। কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামের মগবর মন্ডলের ছেলে সাব্বির হোসেনের সাথে ঝিনাইদহ সদরের মহামায়া গ্রামের ওই কিশোরীর ৩ মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পক গড়ে উঠে, এরই সূত্র ধরে (৩ আগস্ট) সাব্বির ওই কিশোরীকে কোটচাঁদপুরের বকুল সিটি পার্কে নিয়ে আসে। ধর্ষক সাব্বির তার গ্রামের পরিচিত ভ্যানচালক কাবিলের ভ্যানে করে দোড়া ইউনিয়নের পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল সিটি পার্কে নিয়ে যায়। তারপর পার্কে বেড়ানো শেষে ভ্যানচালক কাবিল ও সাব্বির ওই কিশোরীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সিটি পার্কের বাথরুমের পাশের একটি নির্জন ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাযানি হলে এলাকার লোকজন থানায় খবর দেই। থানা পুলিশ সাব্বির হোসেনকে বলুহর বাসষ্ট্যান্ড থেকে আটক করে। ভ্যানচালক ভ্যান রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাব্বির ও কাবিল উদ্দিনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটচাঁদপুর থানার এস আই ইনারুল ইসলাম খবরের সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার বিকালে জানান, মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ১৬৪ ও ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বকুল সিটি পার্ক এর পরিচালক শামীম আরা হ্যাপি জানিয়েছেন করোনাকালে পার্কটি সব সময় বন্ধ থাকে। ফলে কোনো যুবক যুবতীর পার্কে বেড়াতে আসার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন পুলিশের কাছ থেকেই প্রথম খবরটি জানতে পেরেছি। সম্ভবত তারা লুকিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে এই অনৈতিক কাজ করেছে। এ ঘটনার সাথে পার্ক কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়।
ঝিনাইদহে আবারো বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা
ঝিনাইদহে ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪৭
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহে আবারো বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৮ জন। এছাড়াও নতুন করে জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ জন। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পজেটিভ নিয়ে ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১ জন মারা গেছে। এছাড়াও শৈলকুপার ব্রহ্মপুর গ্রামের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ২২৩ জন। সিভিল সার্জন আরও জানান, শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে নতুন করে ১৮৩ জনের নমুনার ফলাফল এসেছে। এদের মধ্যে ৪৭ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ৬৮ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৮ হাজার ৯১ জন।
ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাদপুকুরিয়া গ্রামে বিয়ের দাবী করে অনশন করা নারীকে বেদম মারপিট করে ঘরে বন্দি!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া (হালিম মোড়) গ্রামের করম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) দীর্ঘ দিন যাবৎ ঢাকা শহরে মাইক্রোকার চালক হিসেবে কর্মরত ছিলো। জানা গেছে, ঢাকা শহরে থাকাবস্থায় জনৈক ময়মনসিংহ জেলার এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় ও স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে একসাথে বসবাস করে আসছিলো মেহেদী। এমতাবস্থায় মেহেদী গত ২/৩ দিন পূর্বে সেই মেয়েকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে তার নিজ বাড়িতে অর্থাৎ বর্তমান ঠিকানায় চলে আসে। মেহেদী তার বাড়িতে চলে আসলে উক্ত মেয়ে মেহেদীর বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে গতকাল বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে চলে আসে। ৬ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার মেহেদীসহ তার পরিবারের লোকজন সেই মেয়েকে বেদম মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ঘরের ভিতরে আটকে রেখেছে মর্মে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ডাকবাংলা ক্যাপ্রে আইসি বিল্লাল হোসেনকে ফোনে (০১৩২০-১৪৪১৮২) পাওয়া যায়নি।
মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোদাচ্ছের হত্যা মামলার ১১ আসামি জেলহাজতে
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোদাচ্ছের নামের একজন নিহতের ঘটনায় সদর থানায় ১৯ জন সহ অজ্ঞাত ১০/১৫কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী মঞ্জুরা খাতুন।শুক্রবার শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি বাসা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন পুলিশের কাছে নিজেদের সোপর্দ করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ৩০ জুলাই সকাল ৭টার দিকে গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের মসজিদের সামনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মোদাচ্ছের হোসেনকে। নিহত মোদাচ্ছের ঐ গ্রামের মৃত শুকুর আলী বিশ্বাসের ছেলে ও সামাজিক দল ইবনে মিলন গ্রুপে সদস্য। ৩১ জুলাই ধারা ১৮৬০ সালের ১৪৩/৩২৩/৩২৪/১২৬/৩০৭/৩০২/৩৪/১৪ পেনাল অনুযায়ী মামলা রেকর্ড হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয় নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই অমিত কুমার দাস।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ ও সদর সার্কেল আবুল বাশার স্যারের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় শুক্রবার সকালে এই অভিযান পরিচালানা করা হলো। এজাহার নামীয় ১৯ আসামির মধ্যে ১১জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ার একটি বাড়ি থেকে এজারের আসামি ৯। মোঃ মনোয়ার পিতা ছাত্তার,১০। ডলার হোসেন পিতা ওমর,১১। মিল্টন পিতা খালেক মোল্লা,১২। মকিদ পিতা সদর উদ্দিন,১৩। শাহিনুর পিতা আবু শেখ,১৪। তাজমুল পিতা তোতা, ১৫। তোতা মোল্লা পিতা মোম মোল্লা,১৬। বাপ্পি পিতা আহমেদ, ১৭। আশরাফ পিতা সোনা মোল্লা,১৮। মোঃ তারিক পিতা সোনা মোল্লা ও ১৯ মাহফুজ হোসেন পিতা অলিয়ারকে হেফাজতে নেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস। এই অভিযানের সময় সদর থানার ওসি আবুল খায়ের ও পিএসআই সিরাজুল ইসলাম সহ উপস্থিত ছিলেন। গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মুকুল জানান, আদালত খোলা থাকলে মামলার অন্যান্য আসামিরাও আত্মসমর্পণ করতো। আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নিজেদের সোপর্দ করলো।মামলায় এখনও পলাতক রয়েছে ১। জাফর মোল্লা,২। ওমর মোল্লা,৩।জাহিদুল ইসলাম,৪। শাহিনুর রহমান,৫। মনছুর মোল্লা,৬। জাহিদুল ইসলাম,৭। বছির বিশ্বাস ও ৮। রিয়াজ বিশ্বাস।