
শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | ঢাকা | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » কঠোর লকডাউন শুরু, শূন্য রাজপথ
কঠোর লকডাউন শুরু, শূন্য রাজপথ
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো যেন খাঁ খাঁ করছে। যানবাহন নেই, তাই মাঝে মাঝে কিছু মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও নাই বললেই চলে। নীরব পরিবেশ ভেঙে হঠাৎ দুই-একটা ব্যক্তিগত গাড়ি তীব্র গতিতে চলে যাচ্ছে। কঠোর লকডাউনের প্রথমদিন আজ সকালে রাজধানীতে দেখা গেছে এসব দৃশ্য।রাফিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের দুদিন পর স্বাভাবিকভাবেই রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকার কথা। তারওপর আজ শুক্রবার। ওদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্যান্য লকডাউনের চেয়ে এবারেরটা হবে আরও কঠোর। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে কর্তৃপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকাই থাকার কথা।
সকাল ৬টায় শুরু হয়েছে লকডাউন। ঠিক সে সময়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গেছে রাজধানীর সাতমসজিদ রোডের আবাহনী মাঠের সামনের চেকপোস্টে। বেশ কিছু ব্যক্তিগত গাড়িকে ফেরত পাঠিয়েঠেন তারা। চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি থানার এএসআই অপু কুমার বিশ্বাস বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছি আমরা।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার। আগের লকডাউনগুলোতে যেটুকু ছাড় দেওয়া হয়েছে এবার সেটুকুও দেওয়া হবে না। আমরা চাই, যে যেখানে আছে সেখানেই অবস্থান করবে।
দুই সপ্তাহের এই লকডাউনে ২৩টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো- সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখতে হবে। চলবে না সড়ক, রেল ও নৌ পথে গণপরিবহন, অভ্যন্তরীণ বিমান ও সব ধরনের যানবাহন। বন্ধ থাকবে সব শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্টস; জনসমাবেশ হওয়ার মতো সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান।
শপিংমল-মার্কেটসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খুলবে না পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা, জরুরি সেবা, খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, রাজস্ব আদায়, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যানবাহন চলবে। ওষুধ ও নিত্যপণ্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকারের মতো অতি জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না।