
সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য-কৃষি | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | রাজনীতি | শিরোনাম » চিলাহাটির কামাররা ব্যস্ত সময় পার করছে
চিলাহাটির কামাররা ব্যস্ত সময় পার করছে
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ বিশ্বে করোনা প্রকোপ থাকার কারনে দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষদের জীবন পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে দাড়িঁয়েছে। এই মরনব্যাধী করোনা ভাইরাস এক নিমিষে বদলে দিয়েছে প্রতিটি মানুষের জীবনচলার গতিকে। যার কারনে বাধ্য হয়ে ঘরে বসে দিন কাঁটাতে হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের অনেক মানুষদের। আর এরি মধ্যে সামনে চলে আসল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় খুশির দিন ঈদ-উল-আযহা। আর এই খুশির মূহুর্তে ব্যস্ত হয়ে পরেছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি ৬নং ওয়ার্ডের কামারপাড়া এলাকাটি।
চিলাহাটির এই কামারপাড়া এলাকাটিতে যুগযুগান্ত থেকে বসবাস করে আসছে ৪০/৫০টি কামার পরিবার। অনেকেই আবার এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশাকে বেছে নিয়ে তাদের জীবনচলার গতিধারা বদলে ফেলেছে। বর্তমানে এই কামারপাড়া এলাকার প্রতিটি কামার পরিবারের সদস্যরা কাজের এক মহাৎসবে মেতে উঠেছে। দুরদুরান্ত থেকে প্রতিদিন লোক এসে কোরবানীর পশু জবাইয়ের জন্য দা, ছুরি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরী করে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কামারদের এই ঠুক-ঠাক শব্দের কারনে উক্ত এলাকাটি অদ্ভুদ এক ছন্দে চলতে আছে। এখন প্রায় পুরো এলাকাটি দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় এক অদ্ভুদ তরঙ্গে সময় কাঁটাচ্ছে।
প্রতিবছর মুসলমানরা দুইটি ঈদ উয্যাপন করে। একটি ঈদ-উল-ফিতর আর অন্যটি ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহাকে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ বলে অভিহিত করা হয়। তবে এই বড় ঈদের আনন্দ উক্ত কামারপাড়া এলাকার কামাররা বেশি অনুভুত করে থাকে। কারন, এই ঈদের প্রায় ২/৩ মাস আগে থেকেই তাদের কোমর বেঁেধ মাঠে নামতে হয় পশু কোরবানীর জন্য দা, ছুরি বানানোর জন্য। এই এলাকা সহ পাশ্ববর্তী এলাকার যে যে ব্যক্তিরা পশু কোরবানী দেয় তারা সকলেই এখানে এসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরী করে নিয়ে যায়। যার ফলে কামারদের ২৪ ঘন্টায় কাজ করতে হয়, কারন সকলে যাতে সঠিক সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পায় সেই চেষ্টায় তারা সবসময় করে থাকে।