
রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা | শিরোনাম | সম্পাদকীয় » অবশেষে সাংবাদিক খোকন হত্যা মামলা দায়ের : বাঁচার জন্য আসামীদের দৌঁড় ঝাপ !
অবশেষে সাংবাদিক খোকন হত্যা মামলা দায়ের : বাঁচার জন্য আসামীদের দৌঁড় ঝাপ !
—
বিজয় নিউজ :
আদালতের নির্দেশে ২ মাস ১৩ দিন পর অবশেষে সাংবাদিক জামিল হাসান খান খোকনের হত্যা মামলা রেকর্ড করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা । মামলা নং-০১ তাং- ০১/০৭/২০২১ । ধারা-৩০৪/ক-৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ । সাংবাদিক খোকন হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এই মামলায় কেপিসির সভাপতি ও দৈনিক আরশী নগর পত্রিকার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ইন্ডিপেন্ডেট টিভির প্রতিনিধি মিলন উল্লাহ,কুষ্টিয়া সদর থানার বালিয়া পাড়া গ্রামের দাদন আলীর ছেলে সালমান শাহরিয়ার রাজু,মাধপুর গ্রামের মীর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাকিবুল হাসান সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করা হয়েছে ।
গত ১৩ মে সাংবাদিক জামিল হাসান খান খোকন মারা যাবার পর তার ভাই কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টীর সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটো ১৫ মে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তৎকালীন ওসি মামলা না নিয়ে জিডি হিসেবে রেকর্ড করেন। জিডি নং ৭৪১ তাং ১৫/৫/২০২১ । এর পর আসামীরা বাঁচার জন্য সাংবাদিক খোকনের মৃত্যুকে নিয়ে নানান নাটক সাজাতে থাকে। মামলা না করার জন্য পরে কুষ্টিয়া সান-আপ কিন্ডারগার্টে স্কুলের ম্যাডাম কে দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য নিহত খোকনের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় আসামীরা । এখানেই শেষ নয় খোকনের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসার কথা বলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসামীরা । এ ছাড়া মামলার বাদীকে নানা ভয়ভীতি দেখাতে থাকে আসামীরা বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন মামলার বাদী নাফিজ আহমেদ খান টিটো । তিনি আসামীদের দ্রুত গেফতারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ১৭/৫/২১ তারিখে মামলার বাদি নাফিজ আহমেদ খান টিটো সাংবাদিক সম্মেলন করে তার ভাই খোকনের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
সাংবাদিক খোকনের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন : খোকনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে
——
——
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৭/৫/২১ :
কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বর্ণযুগ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জামিল হাসান খান খোকনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন তার পরিবার। আজ ১৭ মে সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ার হাসপাতাল মোড়স্থ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবী করে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার দাবী করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামিল হাসান খান খোকনের বড় ভাই কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টিও সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর নাফিজ আহমেদ খান টিটু, জামিল হাসানের স্ত্রী কামরুন্নাহার খান। এসময় জামিল হাসানের ছেলে জায়েদ হাসান খান, শিশু কন্যা জামিয়া খান জারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাফিজ আহমেদ খান টিটু বলেন, ১২ মে সন্ধ্যায় সাংবাদিক ইউয়িনের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব আমার ভাইকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় । সেখানে উপস্থিত ছিল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মিলন উল্লাহসহ তার আরো দুই সহযোগি । ঈদ উপলক্ষে পাওয়া মোটা অংকের টাকা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ মিলনকে দেয়ার জন্য সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে জামিল হাসানকে হত্যা করার জন্য ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে জামিল অচেতন হয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘন্টা অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার পর রাত ৯টার দিক খোকনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু এ ব্যাপারে খোকনের স্ত্রীকে সাথে সাথে জানানো হয়নি। প্রায় ২ ঘন্টা পর বিপ্লবের স্ত্রী ডিউ খোকনের স্ত্রীকে ফোন করে বলে খোকন গ্যাস ফরম করে অসুস্থ । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খোকনের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাকে
——ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । ১৩ মে দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোকন মারা যায় । পরের দিন ঈদ । তাই আমি এ ব্যাপারে রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, মিলন উল্লাহ, সালমান সাহরিয়ার রাজু ও রাকিবুল হাসানের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত নামাকে আসামী করে মডেল থানায় হত্যার অভিযোগ করি। পুলিশ তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করেন। জিডি নং- ৭৪১। তারিখ ১৫/৫/২১ ।
টিটু বলেন খোকনের চিকিৎসার নামে বিপ্লব কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেযারম্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় মোটা অংকের চাঁদাবাজি করেছে । জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম খোকনের চিকিৎসার জন্য বিপ্লবকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে সে টাকাও বিপ্লব মেরে দিয়েছে। বিপ্লব খারাপ মানুষ, তার বিচার হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন খোকন মারা যাওয়ার পর বিপ্লব খোকনের স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা এবং খোকনের ছেলেকে সানআপের ম্যাডামের মাধ্যমে ১৩ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে । এতেই প্রমানিত হয় খোকনকে হত্যা করা হয়েছে ।তিনি বলেন মামলা না করার জন্য বিপ্লব আমাকে হুমকি দিচ্ছে ।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় সেখানে যারা উপস্থিত ছিল তাদের আটক করে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
টিটু অভিযোগ করেন, আমি অভিযোগ দিলেও পুলিশ জিডি নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জামিল হাসানের স্ত্রী কামরুন্নাহার খান বলেন,আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে খুনিদের বিচার করতে হবে।