
রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ চিত্র | অপরাধ জগত | আইন- আদালত | কুষ্টিয়ার সংবাদ | ক্রাইম রির্পোট | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | মন্তব্য প্রতিবেদন / ফিচার | রাজনীতি | শিরোনাম » ‘ছুটি না নিয়েই চাকরিস্থল থেকে অস্ত্রসহ বের হন এএসআই সৌমেন’
‘ছুটি না নিয়েই চাকরিস্থল থেকে অস্ত্রসহ বের হন এএসআই সৌমেন’
Bijoynews : কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে এক নারী, তার শিশু ছেলে এবং যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক পুলিশের এএসআই সৌমেন মিত্রকে নিযে খুলনা পুলিশে রীতিমত তোলপাড় চলছে। সৌমেন চাকরিতে থেকে ছুটি না নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় এসে হত্যাকাণ্ড ঘটান।অনুসন্ধানে জানা গেছে, সৌমেন মিত্র খুলনা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।
স্থানীয়রা জানান, আজ রোববার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজনকে গুলি করেন সৌমেন। স্থানীয়রা তাকে পিস্তলসহ হাতেনাতে ধরে পুলিশে তুলে দেয়।
নিহতরা হলেন, কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের মেজবার খানের ছেলে বিকাশকর্মী শাকিল খান (২৮), একই গ্রামের আসমা খাতুন (৩৪) ও তার ছেলে রবিন (৪)। আসমা এএসআই সৌমেনের পরোকিয়া প্রেমিকা । কিন্তু তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন একই বাসাতে । আসমার আগের ঘরের সন্তান রবিন। আসমার ২ জন স্বামীর তালাক হওয়ার পর সে সৌমেনের সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সৌমেন খুলনায় বদলী হলে আসমা পরোকিয়ার জড়িয়ে পড়ে শাকিলের সাথে।
ফুলতলা থানার সূত্র জানিয়েছে, এএসআই সৌমেন মিত্র রোববার (১৩ জুন) সকাল থেকে লাপাত্তা ছিলেন। সহকর্মীরা তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তিনি ছুটিও নেননি। কুষ্টিয়ায় ট্রিপল হত্যায় আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় আটক সৌমেন ফুলতলা থানার এএসআই। আজ সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তিনি ছুটি না নিয়ে আনঅফিশিয়ালি কুষ্টিয়ায় গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাতাব শেখ বিজয় নিউজকে বলেন, ‘সকালে রোলকলের (হাজিরা) সময় এএসআই সৌমেন মিত্র অনুপস্থিত ছিলেন। তার নামে বরাদ্দ থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি নিয়ে তিনি বের হন। কিন্তু সৌমেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় থাকায় তারা কেউ তার মধ্যে এ ধরনের (হত্যার) বড় পরিকল্পনা কাজ করছে, সেটি বুঝতে পারেননি।’
সৌমেন মিত্র ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ফুলতলা থানায় কর্মরত আছেন বলে জানান ওসি। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
ওসি মাহাতাব শেখ জানান, হত্যাকাণ্ড ও আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে খুলনা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় এসে সৌমেনের খোঁজ নেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছেন- উল্লেখ করে উধ্র্ধন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন ওসি।
শাকিলের সঙ্গে আসমার ‘সম্পর্কের’ কথা জেনে যাওয়ায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সৌমেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে ।