
রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ জগত | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | শিরোনাম » নেসকোর কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডোমার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ
নেসকোর কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডোমার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)-এর ডোমার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ দপ্তরের কিছু অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। ডোমার উপজেলার নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম বরাবরে তার কার্যালয়ে ৮ জন গ্রাহক উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ প্রদান করে। অভিযোগে বলা হয়েছে,“নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগ ডোমার বিক্রয় ও বিতরণ দপ্তরের কিছু অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেসকোর গ্রাহকদের ভৌতিক বিল, ভুয়া বিল, বিল পরিশোধ করার পরেও পরের মাসে বিলে টাকার পরিমান বাড়িয়ে দেওয়ার মতো নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। উক্ত ডোমার উপজেলার নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের বেশকিছু অসাধু কর্মকর্তা অধিক টাকার লোভে অনেক জায়াগায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকে। আর সেই বিদ্যুৎ খরচের টাকা তারা সাধারণ গ্রাহকের ঘাড়ে চেপে দেয়। এইসব অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিটি গ্রাহকদের আজ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় চলে নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের বৈদ্যতিক রঙ্গ-লীলাখেলা। দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে মেইনলাইন ফল্টের নামে লোডশেডিং। দৈনন্দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। আর সেই সময়টায় তারা বিভিন্ন অযুহাতে লোডশেডিংয়ের নামে অবৈধ কিছু বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে চলছে। এবং সেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিলগুলো সাধারণ গ্রাহকদের উপর ভৌতিক বিল হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা তাদের গলায় ছুলিয়ে দিচ্ছে। এটা অল্পদিনের কথা নয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলছে নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের এই অবৈধ ব্যবসা। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে যদি কোন গ্রাহক নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের কমপ্লেইন নাম্বারে কল করে তাহলে লাইন ফল্টের কথা বলে ফোন কেঁটে দেয়। এবং দ্বিতীয়বার সেই নাম্বারে কল করার কোন সুযোগ থাকে না। কারন, গ্রাহকরা একবার কথা বললে দ্বিতীয়বার যাতে কল করতে না পারে সেই জন্য তারা প্রতিটি গ্রাহকের নাম্বার ব্লাকলিস্টে রেখে দেয়। এমনকি এই ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেক গ্রাহক নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের সংযোগ কেঁটে দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সংযোগ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে খুন, নারী কেলেঙ্কারী, মাদক, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদা দাবী করা ইত্যাদি অনেক ঘটনাও রয়েছে”।
এ সময় উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রহক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ভুক্তভোগী আলী মর্তুজা কাফি, রেজাউল ইসলাম, ফিরাজ মনি, রকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনম জানান, লিখিত অভিযোগটি নেসকোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হবে। তারপরেই এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।