
বুধবার, ১৯ মে ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পর্যটন | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি » ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েলের ৬ বিমানঘাঁটি গুড়িয়ে দিলো হামাস
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েলের ৬ বিমানঘাঁটি গুড়িয়ে দিলো হামাস
Bijoynews
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা দখলদার ইসরায়েলের ছয়টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ভস্ব হয়ে গেছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে বিমানঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে বলে কাস্সাম ব্রিগেডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তারা আরও বলেছে- হাতসুর, হাতসারিম, নিফাতিম, তেল নুফ, বিলমাখিম ও র্যামন ঘাঁটিতে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে, আজ বুধবারও গাজায় ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।
সকালে ইসরায়েলি হামলায় এক সাংবাদিকসহ চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ১০ মে থেকে গাজায় ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২১৯ জন ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে।
এবার জর্ডান সীমান্ত দিয়ে একটি ড্রোনের মাধ্যমে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হামলার চেষ্টা করা হয়, তবে সেটিকে ধ্বংস করার দাবি করেছে দখলদার দেশটির সেনারা।
ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মঙ্গলবার সকালে জর্ডান সীমান্ত দিয়ে একটি ড্রোন প্রবেশ করছিল, এ অবস্থায় সেটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
ড্রোনটি বেইত শাউন এলাকার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। সেনাবাহিনী ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ড্রোনটি জর্ডানের দিক থেকে প্রবেশ করলেও এটি কারা পাঠিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন করে সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল সীমান্তের দেশগুলোর জনগণও ব্যাপক প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অনেকে প্রতিবাদ হিসেবে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
গত ১০ মে থেকে গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে গাজায় এ পর্যন্ত ৬১ শিশুসহ ২১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরাও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আরও সংবাদ
ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা ও আল আকসা মসজিদে দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহা. রেজাউল করিম বলেছেন,
মুসলমানদের প্রথম কিবলাহ পবিত্র আল আকসাহ মসজিদে দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর হামলা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে। ইহুদীবাদীরা গাজা নগরীর বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ফিলিস্তিনীকে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। এদের অর্ধেকই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ।
তিনি ইহুদীবাদী রাষ্ট্রের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের জোর দাবি করেন। অন্যথায় বিশ্ব উম্মাহ আল আকসাহ মসজিদের পবিত্রতা সহ নিজেদের আত্মরক্ষায় যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতেবাধ্য হবে।
বুধবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত পবিত্র আল আকসাহ মসজিদে ইসরাইলী বাহিনীর বর্বোরোচিত হামলা ও ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেছেন রেজাউল করিম।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন ও ইয়াছিন আরাফাত, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সেক্রেটারি সাব্বির আহমদ, উত্তরের সভাপতি মাহমুদ মোরাদ ও সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান রহমান প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, অবৈধভাবে জন্মলাভের পর থেকেই ইসরাইল ফিলিস্তিন সহ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। তারা আবরের অনেক ভূখন্ডই জবরদখল করে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। তারা পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা মুসলমানদের মনে ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলী বর্বরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে নামাজ আদায়ের সময় বর্বর বাহিনী মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বিভৎস ও কদাকার চেহারা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট করেছে। তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের নির্মমতা থেকে রেহাই পাননি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, মূলত ইসরাইলী ইহুদীরা এখন বিশ্ব শান্তির জন্য এখন প্রধান হুমকী। এই অপশক্তিই এখন মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিও ও আশান্ত করে রেখেছে। তাই এই সন্ত্রাসী ও দখলদার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ^বাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে।
তিনি অবিলম্বে দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ ও ফিলিস্তিনীদের জানমাল রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ, কমনওয়েলথ, আবরলীগ, ওআইসি এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্ব পরাশক্তিগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান। অন্যথায় মুসলমানরা নতুন জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে।