
রবিবার, ২ মে ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ চিত্র | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | রাজনীতি | শিরোনাম » ডোমার উপজেলা ২টি ইউনিয়নে ঝড়োহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতি
ডোমার উপজেলা ২টি ইউনিয়নে ঝড়োহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতি
Bijoynews :
রুহানা ইসলাম ইভা.ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ও গোমনাতী ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে শনিবার ভোর ৪ টার দিকে আকর্ষীকভাবে ঝড়োহাওয়া ও ব্যপক শিলাবৃষ্টির কারনে অত্র এলাকার কৃষকদের মাঠের ফসল নেই বললেই চলে। এলাকাঘুরে সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আর ২/১দিন পর তারা ক্ষেত থেকে চায়না ধান কেঁটে বাড়িতে নিয়ে আসত। কিন্তু, দুঃখের বিষয় প্রায় শত শত বিঘা পাকা চায়না ধানের জমিগুলোতে সব ধান শিলাবৃষ্টির কারনে ঝরে মাটিতে পরে প্রায় এক হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে, অত্র এলাকার পাট ক্ষেতগুলো পাট নেই বললেই চলে। এই দৃশ্য দেখে সাধারণ কৃষকরা জমির পাশে বসে শুধু চোখের অশ্রু ফেলছে। অনেকেই বলেন, গত বছর শিলাবৃষ্টির কারনে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল। তার উপর বাড়িঘর ঝড়োহাওয়ার ভেঙ্গে পরে যায়। সেই কষ্টের দিনগুলো না ভুলতেই আবারো চলে আসে করোনা মহামারীর ধাক্কা। পরিশেষে আবারো সেই ঝড়োহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারনে ক্ষেতের ফসল সবকিছু বিলিন হয়ে গেল। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবো তা একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। অনেকেই দুঃখ করে বলে উঠেন, চড়া সুদে টাকা নিয়ে ধান, পাট ও মরিচ জমিতে বপন করেছিলাম। শনিবার ভোর রাতে একঘন্টার মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে গেল। কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের খালপাড়া, মধ্যপাড়া ও মেম্বারপাড়া গ্রামের কৃষক মফেল, মোশারেফ, আতিউর, নুরুল আমিন, সবুজ, রাসেল, নুরুজ্জামান, ফয়েজ, জাহিদুল, জিয়াবুল, মমতাজ, জয়নুল, নজু, মতিউর, ইদ্রিস, বুলু, এরশাদ, কালাম, সামসুল, সালাম, খলিল, রাজ্জাক, আতাউর, শাহিন ও গোমনাতী ইউনিয়নের আব্দুর সাত্তার, বাবুল, মোকছেদ ছাড়াও এই দুই ইউনিয়নে প্রায় আরো শতাধিক কৃষক রয়েছে তাদের প্রতিজনের ৭/৮ বিঘা থেকে শুরু করে নি¤েœ ২/৪ বিঘা করে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিটি কৃষকের চোখে অশ্রু আর দুঃখ করা ছাড়া কিছুই নেই। এ ব্যপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তারা।
ডোমারের এক শিক্ষক কখনও ভুমি দখলদার কখনও নারী পিপাষো
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড। একজন শিক্ষকেই পারে শিক্ষার্থীদের আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। একজন শিক্ষক যা পারে বাবা-মায়ের পক্ষে তা করা কখনই সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই প্রতিটি শিক্ষককে বাবা-মায়ের সাথে তুলনা করা হয়। কিন্তু, সেই শিক্ষকেই যদি হয় নারী পিপাষো বা জমির দখলদার তাহলে সেই শিক্ষকের শিক্ষার্থীরা কখনই আদর্শবান মানুষ হয়ে উঠতে পারবে না।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক ফারুক আজম (৪০) উক্ত নজিরটি স্থাপন করেছেন। ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়, ১৯৬৪ সালে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার এলাকায় স্থাপিত হয় চিলাহাটি জে.ইউ.ফাজিল মাদরাসা। সেই সময় অত্র এলাকার মহৎ ও দানশীল ব্যক্তিরা এই মাদরাসাটি স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদান করে সেই দানকৃত জমিতেই মাদরাসা, মসজিদ ও ৬ কাটা জমির উপর তৈরী করেন একটি কবরস্থান। আজ সেই মাদরাসাটি এলাকা সহ পাশ্ববর্তী জেলার শত শত ছেলে-মেয়েরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু, ১৯৬৪ সালের যে ব্যক্তিগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে দাড় করিয়েছেন তাদেরেই একজন জমির ওয়ারিশ হিসেবে জমির দাবি করে ৬ কাটা জমির কবরস্থানটির উপর নজর দেয় এবং ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ওয়ারিশ সেজে খুটি গাড়ে। অথচ ১৯৬৪ সালেল পর থেকে এই ৬ কাটা জমির উপর চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন এলাকার জমিদানকারী মহৎ ব্যক্তি ও গুনিজনরা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কেউ কোনদিন এই স্থানটিতে মহৎ ব্যক্তিদের কবররস্ত করতে বাধা প্রদান করেনি। অথচ আজ এই ছোট্ট জায়গাটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যপক জলপনা কল্পনার ডানা মেলেছে। প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে আকর্ষীকভাবে কবরস্থানের জমিতে খুটি গাড়ে ওয়ারিশ হিসেবে জসিয়ার রহমান ও তার পুত্র ফারুক আজম। ইতিপূর্বে গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক ফারুক আজমের বিরুদ্ধে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় এক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার ঘটনাও ঘটে। সেই সময় ফারুক সুকৌশলে এলাকার কিছু মহৎ ব্যক্তির সহযোগিতায় ঘটনাটি রফাদফা করেন। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে জে.ইউ.ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ জাকির হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই জমিটি নিয়ে তাদের দলিল সহ কাগজপত্র রয়েছে। বিশেষ করে ঐ পতিপক্ষের সঙ্গে জমি নিয়ে মামলাও রয়েছে। মামলা চলাকালে এবং নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিভাবে তারা জমিতে আসে এটা আমার জানা নেই। তবে আমি এই বিষয়গুলি স্থানীয় প্রশাসন সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি নিষ্পত্তির জন্য।উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের কথা শোনার পর যেহেতু মামলাটি চলমান সেই দৃষ্টিকোন থেকে জমিদখলকারীদের জমি থেকে অবকাঠামো নিয়ে যাওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।