
মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়ার সংবাদ | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » দৌলতপুরে ভাতা বঞ্চিত ৩৩২ বীর মুক্তিযোদ্ধা
দৌলতপুরে ভাতা বঞ্চিত ৩৩২ বীর মুক্তিযোদ্ধা
Bijoynews : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) জটিলতায় তিন মাস ধরে ভাতা পাচ্ছেন না ৩৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কবে নাগাদ পুনরায় এই ভাতা চালু হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কিছু বলতে পারছে না। ফলে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান চান এসব বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো।
দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলায় ১০৬৭ জন ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। বিধান অনুযায়ী এসব বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি সুবিধা পেয়ে আসছেন। এতদিন ম্যানুয়ালি ভাতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু সারা দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ম্যানুয়ালি না দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সে মোতাবেক এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) নামে একটি সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডাটা আপলোড করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এই সফ্টওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করছেন। কিন্তু এই সফ্টওয়্যারে ভুলবশত দৌলতপুরের প্রায় ৩৩২ জন ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম না আসায় প্রায় ৩ মাস ধরে তাদের ভাতা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ এসব বীর মুক্তিযোদ্ধা ফের ভাতার টাকা পাবেন সে বিষয়টিও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেছেন না সংশ্লিষ্টরা। কি কারণে তাদের ভাতা বন্ধ সে বিষয়েও অবগত নন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। ভাতাবঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জানান, অনেক মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতার ওপর নির্ভরশীল। কয়েকমাস ধরে ভাতা না পাওয়ায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। প্রতিদিনই অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানকারী ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করলেও কবে নাগাদ ফের ভাতা চালু হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই গত ৩ মাস ধরে তার ভাতা বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য সহকর্মীরা ভাতা পেলেও তার ভাতা বন্ধ থাকায় তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কী কারণে তার ভাতা বন্ধ রয়েছে সে বিষয়ে অবগত নন তিনি। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এমআইএস সফ্টওয়্যারের জটিলতায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা (বকেয়াসহ) দ্রুত সময়ের মধ্যে ফের চালু করা যাবে।