
বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » জমজম কূপে প্রবেশের বিরল সুযোগ পাওয়া ড. ইয়াহইয়া মারা গেছেন
জমজম কূপে প্রবেশের বিরল সুযোগ পাওয়া ড. ইয়াহইয়া মারা গেছেন
প্রকৌশলী ড. ইয়াহইয়া হামজা কোসাক। সংস্কারের জন্য পবিত্র জমজম কূপে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের একজন। তিনি জমজম কূপের নেমে পানি প্রবাহের উৎসস্থল দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। আধুনিক ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি কূপটিতে প্রবেশ করেন। এর পর আরও কেউ কূপে প্রবেশ করেননি। ১৯৭৯ সালে বাদশাহ খালিদ বিন ফয়সালের শাসনামলে তার নেতৃত্বে জমজম কূপ সংস্কার ও পরিষ্কার করা হয়।
সৌদি আরবে ড. ইয়াহইয়া হামজা কোসাককে প্রকৌশলীদের জনক বলা হয়। জমজম কূপের ইতিহাসের সবেচেয়ে বড় ধরনের সংস্কার ও পরিষ্কার কাজের নেতৃত্বদানকারী এই প্রকৌশলী সোমবার (১ মার্চ) বিকেলে সৌদি আরবে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি সৌদি আরবের পানি ও ড্রেনেজ কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালক ছিলেন। সৌদির প্রেস ও প্রকাশনা সংস্থার সদস্যও ছিলেন তিনি। তার ভাই প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদের মক্কা নগরীর সাবেক মেয়র ছিলেন।
১৯৭৯ সালের জমজম কূপ পরিষ্কারকরণ প্রকল্পটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ পরিষ্কারকরণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল জমজম কূপের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে জঞ্জাল অপসারণ করা, এই সংস্কারের কারণে জমজম কূপের পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ওই সময়, তিনি ও তার দল জমজম কূপকে অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করেন।
জমজম কূপের পানির প্রবাহধারা ও পরিচ্ছন্নতার ওপর তিনি ‘Zamzam: The Holy Water’ নামে একটি বই রচনা করেন। ওই বইয়ে তার দেখা জমজম কূপের অভ্যন্তরের বিবরণ স্থান পেয়েছে। সেখানে তিনি পবিত্র এই কূপের প্রত্নতাত্বিক সব বিষয় তুলে ধরেছেন।
প্রকৌশলী ইয়াহইয়া জানিয়েছিলেন, ‘জমজম কূপের মধ্যে তিনি পানির দু’টি উৎস দেখেছিলেন। যার একটি এসেছে কাবার দিক থেকে আর একটি এসেছে আজিয়াদের দিক থেকে।’ এ ছাড়া জমজম কূপের ভেতরে পাথরের মধ্য ছোট ছোট বারোটি গর্তের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়।
তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘জমজম কূপের পানি চমৎকার স্বাদযুক্ত এবং রোগ প্রতিরোধক।’
পবিত্র নগরী মক্কার এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেন তিনি। তার পিতা মক্কার বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি হজ মৌসুমে ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ তুর্কি থেকে আগত হজ ও উমরা পালনকারীদের সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।