
শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | মিডিয়া | রংপুর | রাজনীতি | শিরোনাম | স্পেশাল রির্পোট » মাস্ক পরে কি হবে ?
মাস্ক পরে কি হবে ?
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ প্রায় ৮ মাস যাবত ধরে পুরোবিশ্বকে গ্রাস করে আছে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস। লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই ভাইরাসের কারনে এবং এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে হাজার হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়েছে অনেক ব্যক্তি। কিন্তু, তাই বলে কি সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ভুলে যাবে। প্রথম ধাপে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে সকলের মধ্যে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি হয়েছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সকল স্বস্থ্যবিধি মেনে চলত। কিন্তু, বর্তমানে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে আবারো শুরু করেছে অসহায় মানুষদের প্রাণ নেওয়া। তবুও কারো মধ্যে কিনচিত পরিমান সচেতনতাবোধ নেই, আর সুরক্ষিত থাকা তো দুরে থাক।
নীলফামারী জেলা সহ ডোমার উপজেলার মানুষদের দেখলে মনেই হয়না যে করোনা ভাইরাস নামে কোন মরণব্যাধি ভাইরাস পুরোবিশ্বে বাঁসা বেধে আছে। প্রায় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ নিয়ে বসে আছে এই করোনা ভাইরাস। এবং এই শীতের মৌসুমে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে আবারো প্রাণ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু, তবুও ডোমার উপজেলার কোন মানুষদের মধ্যে কোন ভয় নেই। যুব সংগঠন ও বাজার সমাজ কমিটি একশন ফর ইম্প্যাক্ট (এফরআই) প্রজেক্টের বাস্তবায়নে এবং ইউএসএস ও একশন এইড বাংলাদেশ সহযোগিতায় ডোমার উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে ও ব্যস্ততম মোড়গুলোতে এবং হোটেল-রেস্তোরার সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, সেই হাত ধোয়ার স্থানগুলো নিথর হয়ে পরে আছে। হাত না ধোয়ায় ব্যসিনগুলো প্রায় নষ্টের পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে। এবং এলাকার মানুষ সেগুলোকে জনজাল হিসেবে অভিহিত করেছে। উক্ত উপজেলার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন,“মাস্ক পরে বাইরে বের হয়ে আর স্যানিটাইজার সঙ্গে রেখে কি হবে। আমাদের কি কোন লাভ আছে এইসব বাড়তি জনজালগুলো সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার। মাস্ক পরলে মনে হয় একটা বাড়তি জনজাল মুখে দিয়ে আছি। মাস্ক পরলে, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখলে, স্বাস্থ্যবিধি মানলে কি সুরক্ষিত থাকব। তার থেকে বরং করোনা ভাইরাস তার কাজ করুক, আর আমরা আমাদের মতো চলি”। পথচারি কিছু ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,“স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এই বাক্যটা বর্তমানে কারো মুখে শোনা যায় না। আমরা দিনমুজুরি করে খাই। ভাইরাসের কথা ভাবলে তো আর আমাদের পেট চলবে না। তবুও যতটুকু সম্ভব, আমরা সচেতন থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু, একটা কথা না বললেই নয়। আমরা অশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও সচেতনতাবোধ এই শব্দটার মানে বুঝি। কিন্তু, যারা শিক্ষিত প্রভাবশালী তারাই এটার অর্থ বুঝে না”।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বর্তমানে কারো মাথা ব্যথা নেই। সকলকে এটাকে তুচ্ছ হিসেবে গন্য করছে। কিন্তু, কেউ এটা ভাবছে না করোনা ভাইরাসের প্রাণ নেওয়ার মাত্রা কতটুকু। বর্তমানে একটা কথা প্রচলন হচ্ছে, “নো মাস্ক,,নো সার্ভিস”। কিন্তু, বর্তমানে এর ব্যবহার কিনচিত পরিমানও নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয় যে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গার স্থানীয় প্রশাসন সাধারণ মানুষদের মধ্যে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করা নিশ্চিত করবেন। আর এনজিও ও সরকারী কার্যালয়ে যদি কোন ব্যক্তি কাজের জন্য যায়, তাহলে অবশ্যই তাকে মাস্ক ব্যবহার সহ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি এই বিধি মোতাবেক না চলে তাহলে তাকে সাহায্য প্রদান করা হবে না। এমনকি তাকে সরকারী কোন কার্যালয়ে প্রবেশ করানো হবে না। সরকার যদি এই আইনগুলো প্রয়োগ করে তাহলে সাধারণ মানুষরা নিজের কাজরে জন্য হলেও একটু সচেতন হবে। তাই উক্ত বিষয়গুলোর প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া একান্তই জরুরি।
ডোমারে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স সপ্তাহ পালিত
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ “প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুতি, দূর্যোগ মোকাবেলায় আনবে গতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০ পালন করা হয়েছে।
ডোমারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আয়োজিত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তলনের মধ্যদিয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে দিবসটির শুভ সুচনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম। পরে এক আলোচনা সভায় স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে টিম লিডার শাহাজান আলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপন সহ সকল দূর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ে সরঞ্জাম ও ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন। শেষে যান্ত্রিক র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, দূর্যোগ- দূর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, গতি, সেবা ও ত্যাগ আমাদের মূলমন্ত্র। দূর্যোগ মোকাবিলায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।