
শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | দুর্যোগ-দুঘর্টনা | বক্স্ নিউজ | রংপুর | শিরোনাম » সুন্দরগঞ্জে বন্যায় দুই হাজর হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট
সুন্দরগঞ্জে বন্যায় দুই হাজর হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট
মোঃ নূরন নবী সরকার, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ঘাঘট নদীর বন্যায় প্রায় দুই হাজর হেক্টর জমির আমন ও সবজি ক্ষেত নির্মজিত হয়ে পড়েছে। তবে সরকারি ভাবে নির্মজিতর পরিমান ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এর মধ্যে সবজি ক্ষেত ১০০ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর বন্যায় ৩৫০ হেক্টর এবং তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদীর বন্যায় নির্মজিত ১ হাজার ৩০০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নির্মজিত আমন ও সবজি ক্ষেত নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলার পাইটকাপাড়া গ্রামের সাজেদুল ইসলাম সাজু মিয়া জানান তার তিন বিঘা জমির উঠতি আমনক্ষেত এখন পানির নিচে পড়ে রয়েছে। বেশিভাগ ধানের গোছা ইতিমধ্যে পঁচে গেছে। তার দাবি চলতি বছর তিনি এক ছটাক আমন ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না। এছাড়া ধানের খড় না থাকলে তার দুইটি গরু লালন পালন করা সম্ভব হবে না। পরিজন নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। তিনি সরকারের নিকট ভুর্তকির দাবি জানিয়েছেন। ভাটিকাপাসিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান তার এক বিঘা জমির মরিচ এবং এক বিঘা জমির বেগুন ক্ষেত সম্পন্নরুপে নষ্ট হয়ে গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার সবজি ক্ষেতে ফলন ধরতে শুরু করত। তিনি বলেন এ পর্যন্ত তার দুই বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে নির্মজিত আমন ও সবজি ক্ষেতের পরিমান নিরুপণ করে তা পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন নির্মজিত আমন ক্ষেতের কিছু অংশ সেরে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকরা নতুন করে আবারও সবজি চাষাবাদ শুরু করেছে।
সুন্দরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে
নৌকা প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর
মোঃ নূরন নবী সরকার, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায়। ইতিমধ্যে সম্ভব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণ নিজ নিজ পরিচয় তুলে ধরে পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, অফিস-আদালতের সামনে, চায়ের দোকানে এবং হাট-বাজারে ব্যানার, পোষ্টার, ফেসটুন, বিলবোর্ড এবং স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে। পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার কান্ডারি হতে চান পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। পৌরসভার হুড়াভায়াখাঁ মহল্লার আব্দুল হাকিম সরকারের ছেলে জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সোনার বাংলা বিদ্যাপীঠ প্রি-ক্যাডেট স্কুল, উপজেলা পাটচাষী কল্যাণ সমিতি, জেলা পাটচাষী কল্যাণ সমিতি, জয় বাংলা থিয়েটার এবং উপজেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাশ। ব্যক্তিগত জীবনে তিন বিবাহিত এবং এক ছেলে ও কন্যা সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীর জানান তিনি দীর্ঘদিন থেকে সুস্থ ধারার রাজনীতি করে আসছেন। তিনি আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রত্যাশা করছেন। জননেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মেয়র পদে নির্বাচনের সুযোগ দেন তাহলে তিনি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভাকে একটি কাঙ্খিতমানের পৌরসভা উপহার দিবেন। তিনি নৌকার সমর্থন পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।