
মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ জগত | আইন- আদালত | ক্রাইম রির্পোট | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » বলাৎকারের মামলা ভুল ধারায় : কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ওসিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
বলাৎকারের মামলা ভুল ধারায় : কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ওসিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
Bijoynews :
ভুল ধারায় মামলা দায়ের করায় কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদকে স্বশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন।
আগামী ৭ অক্টোবর আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে ‘কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না’ তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। মিরপুর থানায় একটি শিশু বলাৎকার মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রজু না করে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৭৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মিরপুর উপজেলার কামলামারী গ্রামে ১৩ বছরের একটি বলাৎকারের শিকার হন। এ ঘটনায় শিশুর পিতা আনারুল শেখ বাদী হয়ে ওই দিনই মিরপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তরিকুল ইসলাম নামে একজনকে আসামি করা হয়। উক্ত মামলাটি পেনাল কোড ১৮৬০এর ৩৭৭ ধারায় রুজু করেন মিরপুর থানা পুলিশ।
তবে হাইকোর্টের নির্দেশনা করেছে ১৬ বছর পর্যন্ত ছেলে ভিকটিম বলাৎকারের শিকার হলে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় রুজু করতে হবে। গত ১৩ আগস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সারা দেশে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারপরও মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৭৭ ধারায় মামলাটি রুজু করেন। পুলিশ মামলার নথি আদালতে পাঠালে বিষয়টি বিচারকের নজরে আসে।
সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর আমলী আদালতের বিচারক মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ৭ অক্টোবর স্বশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
আদালত বলেছেন, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় রুজু না করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন। তার এমন কাজ দায়িত্ব-অবহেলা তথা অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অতএব ‘কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না’ স্বশরীরে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আদালত।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলাটির ধারা ভুল হয়েছিল। পরের দিনই ধারা সংশোধন করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।