
শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ চিত্র | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » ভূয়া প্রত্যয়নপত্রে চাকুরী : দৌলতপুরে ভূয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরী প্রাপ্ত মমতাজ হেনা তদন্তে উপস্থিত হয়নি
ভূয়া প্রত্যয়নপত্রে চাকুরী : দৌলতপুরে ভূয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরী প্রাপ্ত মমতাজ হেনা তদন্তে উপস্থিত হয়নি
দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরি নেওয়া চকদৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা মমতা হেনা তদন্ত বোর্ড বা কমিটির সামনে হাজির হননি। সোমবার বিকেল ৩ টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে তদন্ত বোর্ড বা কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। এদিকে তার অনুপস্থিতিতে তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শিক্ষিকা ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরির বিষয়ে নিজ নিজ মতামতা পেশ করেছেন। খাসমথুরাপুর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সামছুন নাহার তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি জানিয়েছেন, মমতা হেনা নামে তার কোন মেয়ে নেই এবং তিনি এ বিষয়ে কাউকে প্রত্যয়নপত্র দেননি বা প্রত্যয়ন করেননি। একই মতামত দিয়েছেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাও। তবে ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরি নিয়ে মমতা হেনা যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন মমতা হেনা তার স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মমতা হেনা ২০১০ সালে খাসমথুরাপুর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সামছুন নাহারের মেয়ে বলে ভুয়া পোষ্য কোঠার মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র দাখিল করে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মায়া নামে এক শিক্ষার্থী লিখে দিয়ে অবৈধ নিয়োগ নেয়। আর অবৈধ এ নিয়োগে সহযোগিতা করেন দৌলতখালী হাটখোলা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ খান ওরফে নাসির উদ্দিন।
ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরি নেওয়া মমতা হেনার তদন্ত প্রসঙ্গে দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সোমবার বিকেল ৩ টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে মমতা হেনাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত হয়ে মতামত দাখিল করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী সকলে উপস্থিত হলেও অভিযুক্ত মমতা হেনা উপস্থিত হননি। তদন্তে প্রমানিত হলে মমতা হেনা চাকুরীচ্যুতসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, ভুয়া পোষ্য কোঠার চাকুরি সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ নিয়ে একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করেন। তার প্রেক্ষিতে জেলাশিক্ষা/কুষ/১১০১/৩ স্মারকে অভিযুক্ত মমতা হেনাসহ সংশ্লিষ্টদের ২ অক্টোবর বিকেল ৩ টায় তদন্ত বোর্ডে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজ পক্ষের মতামত ব্যক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত বের্ডে সকলে উপস্থিত হলেও অভিযুক্ত মমতা হেনা অত্মভয়ে উপস্থিত হননি। আর এ বিষয়টি এখন দৌলতপুরে সর্বত্র আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় মমতাজ হেনার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। তবে মমতাজ হেনা ওই তদন্ত কমিটির সদস্যদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে গড়িমশি করাচ্ছেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষিকা অফিসার আনন্দ কিশোরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এই তদন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ও মমতাজ হেনা তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হননি বলে জানান। এদিকে সহকারী শিক্ষিকা (অবঃ) সামছুন নাহার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মমতাজ হেনা নামে আমার কোন মেয়ে নেই। আমি কোন প্রত্যয়ন পত্র দেয়নি। আমি তদন্ত কমিটির সামনে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। অভিযুক্ত মমতাজ হেনার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এই ভূয়া পৌষ্য কোঠায চাকুরী তদন্ত কে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা ঝড়।