
শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ চিত্র | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম | সিলেট » গণধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিল সাইফুর-অর্জুন-রবিউল
গণধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিল সাইফুর-অর্জুন-রবিউল
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার রাত ১০ টা ৪০মিনিটের দিকে সিলেট নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জবানবন্দি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিন আসামিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টা দিকে আদালতে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়।
আদালতে পরপর তিন আসামির জবানবন্দি নিতে বিলম্ব হওয়ায় আসামি রবিউল ইসলামকে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-দ্বিতীয় আদালতের হাজির করা হয়। ওই আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তার জবানবন্দি দেন।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ( মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, সাইফুর রহমান, অর্জুন ও রবিউলকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা তিনজনেই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত। এছাড়া মামলায় গ্রেফতার আরও পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া শনিবার মামলায় গ্রেফতার আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
গত শুক্রবার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় শনিবার ভোর রাতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা (২১(৯)২০২০) দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী। মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রণি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলাটি (নং-২২(৯)২০২০) দায়ের করেন তিনি।