
শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » সাদুল্লাপুরে নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অব্যাহতির দাবি
সাদুল্লাপুরে নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অব্যাহতির দাবি
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ চার পুলিশ হত্যা মামলা ও জামায়াত নেতাকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেবার প্রতিবাদে তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় নলডাঙ্গা শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন নলডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সাধারণ জনগণ।
এসময় বক্তব্য রাখেন সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, সহ-সভাপতি খন্দকার জিল্লুর রহমান, মোজাহারুল ইসলাম, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া, যুবলীগ নলডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহম্মদ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সদ্য হাইকোর্ট কর্তৃক অব্যাহতি প্রাপ্ত গভর্নিং বডির সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম নয়ন স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি একজন জামায়াত নেতা ও বামনডাঙ্গার চার পুলিশ হত্যা মামলার আসামী মো. আবুল কাশেমকে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মো. আবুল কাশেম কয়েকটি নাশকতা মামলারও চার্জশীটভুক্ত অন্যতম আসামী। কিন্তু মো. আবুল কাশেম প্রভাষক হওয়া সত্বেও কয়েকজন সহকারি অধ্যাপক থাকলেও তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাই বক্তারা অবিলম্বে মো. আবুল কাশেমকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
গোবিন্দগঞ্জে একটি মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক জালিয়াতির
মাধ্যমে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ কোটে মামলা
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশুলিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি অনুমতি ছাড়াই এবং কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই স্বজনপ্রিতি ও অথের বিনিয়মে ২জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলা সূত্রে জানাে গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২নং কাটাবাড়ি ইউপির বিশুলিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় ইতিমধ্য ২জন শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় শিক্ষক সংকটে পড়ে মাদ্রাসাটি। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও সহকারী শিক্ষক আতোয়ার রহমান ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে গোপনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কঠিয়াবাড়ী গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম ও অত্র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের আপন ভাই গোফফার রহমানের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদেরকে মৌখিক ভাবে ক্লাস নেয়ার অনুমতি প্রদান করে। উক্ত ২জন শিক্ষক নিয়মিত মাদ্রাসায় ক্লাস নিলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ অন্যন্যা সদস্যরা মাদ্রাসায় গিয়ে ঔই ২ জন শিক্ষক কেন তারা ক্লাস নিচ্ছেন জানতে চাইলে ঔই ২জন শিক্ষক জানান. প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক তাদের নিকট থেকে ২লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন । এ ঘটনায় গত ০৮/০৯/২০২০ ইং তারিখে মাদ্রাসায় মিটিংগে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককের নিকট জানতে চাওয়া হয় ওই ২জন শিক্ষকের নিয়োগ ও ২লক্ষ টাকা ঘুষের ব্যাপারে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ২লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করে জানান. তারা ওই ২জন শিক্ষককে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিয়েছেন । তখন দু.পক্ষের মধ্য কথা কাটাকাটি শুরু হলে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে মিটিং সমাপ্ত হয়। পরে গত ২০/০৯/২০২০ইং তারিখে মাদ্রাসার দাতা সদস্য একরামুল হক বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক কে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্টেট (চোকি) আদালতে ২৯৪/২০ নং একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে নিদ্দেশ প্রদান করেন । প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককের অনিয়ম দুনীতির ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবকদের মধ্য চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।