
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | অপরাধ জগত | আইন- আদালত | কুষ্টিয়ার সংবাদ | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ৫ কর্মকর্তা ও কেএনবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ৫ কর্মকর্তা ও কেএনবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা
Bijoynews :
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে জোরপূর্বক ব্যক্তিমালিকানা মার্কেট ভেঙে জমি দখলের ঘটনায় এক শিল্পপতি ও জেলা পরিষদের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। রোববার বিকাল ৪টায় কুষ্টিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক রাখিবুল ইসলামের আদালতে দাখিল করা আরজিটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহতাব উদ্দিন।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের সমন জারি এবং ২৪ নভেম্বর বিবাদীরা হাজির হয়ে শুনানির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মার্কেট দখলের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় যাদের বিরুদ্ধে এ ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে তারা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সার্ভেয়ার মোঃ মনিরুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান শাহীন এবং দখলকৃত জমিতে স্থাপনা গড়ে তোলা শিল্পপতি কেএনবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান নাসির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ জুন বিকাল ৪টায় সদর উপজেলার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বস্থ বটতৈল এলাকার রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মালিকানা স্বত্ব দখলীয় ও রেকর্ডভুক্ত জমির ওপর নির্মিত ২২টি দোকান বিশিষ্ট ‘প্রামাণিক মার্কেট’ নামের দ্বিতল ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়ে জবরদখল করেন ঘটনাস্থলেরই ‘কেএনবি এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ’ নামক একটি পোলট্রি, মৎস্য ও পশুখাদ্য প্রস্তুতকারী কারখানা মালিক কামরুজ্জামান নাসির। তার দাবি, জমিটি কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে ইজারা সূত্রে প্রাপ্ত। যদিও উল্লেখিত বটতৈল মৌজার খতিয়ান নং আরএস ৯৫৮ দাগ নং ২০২৮-এর জমির মালিকানা সংক্রান্ত জেলা পরিষদের দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে শিল্পপতি ‘কেএনবি এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, জমিটি আমাকে জেলা পরিষদ লিজ দিয়েছে। মামলা হয়ে থাকলে আমি আইনগতভাবেই তা মোকাবেলা করব।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সেলফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে ‘সরকারি কাজ করতে গিয়ে যদি মামলা হয় তাহলে সেটা সরকারই দেখবেন’ বলে জানালেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান।