
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিক্ষা সংবাদ | শিরোনাম » অভিভাবকহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আটকে আছে-১৯৪জনের বেতন
অভিভাবকহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আটকে আছে-১৯৪জনের বেতন
২১-০৯-২০২০ইং
রাজ্জাক মাহমুদ রাজ
২০ আগস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী এবং ২১ আগস্ট কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আটকে গেছে ১৯৪ জনের বেতন। গত ২২ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি শূন্য হয়ে আছে। অভিভাবকহীন ইবিতে একাডেমিক,প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সর্বস্তরে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আটকে আছে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বেতনভাতা। এ মাসেই উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারাও সামনের মাস থেকে বেতন পাবেন না। সব মিলিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে ইবি পরিবার।
জানা যায়, বর্তমান প্রশাসনের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার অনুমতি দিয়ে যান উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর রশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা। কিন্তু ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৯৪ জন আনসার সদস্য ও মাস্টাররোলে কর্মরত ৮০ জনের বেতন-ভাতার ব্যাপারে কোনো অনুমতি দিয়ে যাননি তারা। ফলে নতুন উপাচার্য না আসা পর্যন্ত তারা কোনো বেতনভাতা পাবেন না বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ।
ইবির তিন কর্মচারী শোকজ
২১-০৯-২০২০ইং
রাজ্জাক মাহমুদ রাজ
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের তিন কর্মচারী, মুনশী মনিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান ও মুরাদ হোসেনকে শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বরাবর পাঠানো শোকজের জবাবে এ তিন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দায়িত্বে অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের অভিযোগে শোকজ করে সংশিষ্ট দফতর। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব রাজ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের এ তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন। রাকিব তার পোস্টে চা-সিগারেটের বিনিময়ে সনদ, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় ওই তিনজনকে শোকজ করা হয়।