
বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | অপরাধ চিত্র | কুষ্টিয়ার সংবাদ | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম | সম্পাদকীয় | স্পেশাল রির্পোট » কুষ্টিয়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মিজানুরের অপকর্ম ফাঁস !
কুষ্টিয়া বাফার গুদামের ইনচার্জ মিজানুরের অপকর্ম ফাঁস !
বিজয় নিউজ : কুষ্টিয়া বাফার গুদাম ইনচার্জ মিজানুর রহমান। তাঁর অপকর্মের শেষ নেই । দুুই মাস আগে বদলী হলেও তিনি ছাড়তে চাচ্ছে না তার দায়িত্ব । কুষ্টিয়ায় বদলী হয়ে আসা নবাগত বাফার গুদাম ইনচার্জ বজলুর রহমান এক সপ্তাহ যাবৎ বসা । কিন্তু তাকে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করছেন তিনি। এর নেপথ্য কারন খুঁজতে যেয়ে বেরিয়ে আসে তার নানা অপকর্মের কথা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়ার জনৈক সার ডিলার বিজয় নিউজকে জানান, বাফার গুদামের ইনচার্জ মিজানুর রহমান একজন ঘুষখোর অফিসার। তিনি সারের বস্তা প্রতি ১০ টাকা করে ঘুষ দিতে বাধ্য করেন ডিলারদের । প্রতি গাড়িতে তিনি ঘুষ আদায় করেন প্রায় ৪ হাজার টাকা । আবার অবৈধ ভাবে গুদাম খরচের কথা বলে ৯৫০ টাকার আদায় করেন। এ টাকার মধ্যে ৩শ টাকা দেন স্থানীয় মাস্তানদের, ৩শ টাকা দেন শ্রমিক নেতাদের বাকী ৩৫০টাকা নিজের পকেটে ভরেন যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এভাবে তার মাসিক অবৈধ আয় কয়েক লক্ষ টাকা । তিনি কুষ্টিয়াতে যোগদান করেন ২৭/১১/২০১৯ সালে । কুষ্টিয়ায় চাকরি করছেন প্রায় করছেন ১০ মাস । গত ১০ মাসে তিনি কুষ্টিয়া বাফার সার গুদাম থেকে অবৈধ ভাবে আয় করেছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দিতে হয় অজুহাতে তিনি সার ডিলারদের কাছ থেকে একরকম জোর করেই ঘুষ আদায় করেনবলে জানান সার ডিলারগন।
তার ঘুষ দুর্নীতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানার পর মিজানুর রহমানকে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লি: ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ( ব্যবস্থাপক প্রশাসন) ৩৫৬৭ স্মারক তারিখ ১৫/৭/২০২০ তাকে কুষ্টিয়া থেকে বদলীর আদেশ দেন । বিসিআইসি’র নির্দেশে ব্যস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ব্যবস্থাপক ( প্রশাসন) মো: আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বদলীর আদেশে মিজানুর রহমানকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে মো: বজলুর রহমানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি বদলী আদেশকে তোয়াক্কা না করে এবং দায়িত্ব বুঝে না দিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে বহাল তবিয়তে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া বাফার গুদাম ইনচার্জ মিজানুর রহমান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঘুষ -দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন আমার ভালো যারা দেখতে পারে না তারাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে । ২ মাস অতিবাহিত হলেও কেন তিনি দায়িত্ব বুঝে দেননি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন গুদামে রক্ষিত সারের বস্তা গননা করতে যেয়েই দুই মাস সময় চলে গেছে । তবে সার ডিলাররা বলেন মিজানুর রহমান এখানে থাকার জন্য জেলার একজন প্রভাবশালী নেতার দিয়ে তার বদলী বাতিল করার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে বিসিআইসির বিপনন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনজুর রেজা বলেন মিজানুর রহমানের বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে । আমার জানামতে তার বদলীর আদেশ বাতিল হবে না । তিনি বলেন ব্যক্তিগত ভাবে যদি তিনি কোন অপরাধ করে থাকেন তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।