
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | রাজনীতি | শিরোনাম » ডোমারে উপজেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের কমিটি পুনর্গঠন
ডোমারে উপজেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের কমিটি পুনর্গঠন
রুহানা ইসলাম ইভা
.ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের কমিটির পুনর্গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ডোমার থানাপাড়া প্রধান ভিলা সভাকক্ষে নারী নেত্রী তৌহিদা জ্যেতিকে সভাপতি ও অনিল বাশঁফোরকে সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এনএনএমসি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে উক্ত পুনর্গঠিত কমিটির সভায় সাংগঠনিক আলোচনা, দলিত সম্প্রদায়ের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির সেবায় সুবিধা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সাংগঠনিক পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রৌশন কানিজ, এনএনএমসি অ্যাডভোকেসি অফিসার পাপন কুমার সরকার, সাংবাদিক আনিছুর রহমান মানিক, শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম, সংগঠক আব্দুল হাই, সনিতা বাশঁফোর, রতন ভুইমালী, রেখা রানী দাস, মিতু রানী দাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে নতুন কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান এনএনএমসি’র কো-অর্ডিনেটর মোঃ নুরল আলম।
ডোমারে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রুহানা ইসলাম ইভা.
ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে প্রতিবেশীর দেয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে কলেজ পড়–য়া সন্তানকে হয়রানী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার বাটার মোড়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সোনারায় ইউনিয়নের হুজুর পাড়া এলাকার সাজ্জাদ হোসেন (৪৫), এসময় তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) ও বাবা ঈসরাইল হোসেন (৬৫) উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন হতে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, আনিছুর ও ইনছানের সাথে আমার পরিবারের বিরোধ চলছে। আর তাদের সহায়তা করছে আন্তঃজেলা ডলার প্রতারক চক্রের হোতা একই ইউনিয়নের হেফাজুল ইসলাম (৪২)। তারা বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অসত্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে আসছে। তাদের হুমকির কারনে গত ২২/০৮/২০২০ইং তারিখে আমি ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নং-১১১৫ দায়ের করি করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫/০৮/২০২০ইং তারিখে প্রতিবেশী রবিউলের স্ত্রী পারভীনকে দিয়ে আমার কলেজ পড়–য়া ছেলে অনিক (২০), আমার ভাই আজাদ হোসেন (৩৫), চাচা ময়নুল ইসলাম (৭০) ও আমার বন্ধু হাফিজুর রহমানকে (৪৫) কে আসামী করে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ধর্ষণের চেষ্টার মামলা নং-১৪ দায়ের করে। ওই দিনেই আমার কলেজ পড়–য়া ছেলে অনিককে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। ধর্ষনের মিথ্যা মামলা হতে আমার ছেলে অনিকের জামিনসহ মামলাটি প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মামলাটির তদন্তে সঠিক রহস্য উৎঘাটন করে আমরা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবো।
ডোমারের ভোগডাবুরী ইউপির এক গ্রাম পুলিশের
হুমকির মুখে গ্রামবাসী
রুহানা ইসলাম ইভা.ডোমার উপজেলা প্রতিনিধিঃ প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ১নং ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মুক্তিরহাট ৯নং ওয়ার্ডের সাত ঘড়াটারী এলাকার মৃত-শুকারু দাফাদারের পুত্র দায়ীত্বরত গ্রামপুলিশ মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে গত ৩১/০৮/২০২০ইং ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসী একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত উপজেলার ১নং ভোগডাবুরী ইউনিয়নের মুক্তিরহাট ৯নং ওয়ার্ডের দায়ীত্বরত গ্রামপুলিশ মমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার গিরিয়ার ডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে উক্ত গ্রামপুলিশ মমিনুলকে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ১৫ দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন। নিজের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এই রকম কার্যকলাপ করবেনা বললে, উক্ত বিষয়ে মিমাংসা করে নেন। বর্তমানে উক্ত গ্রামপুলিশ আইন-কানুন ও সমাজকে তোয়াক্কা না পুনরায় উক্ত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এ ব্যপারে গ্রামের কোন ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে গেলে সেই ব্যক্তিকে ভারতীয় মাদক ও গরু দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এলাকাবাসীকে জিম্মী করে রেখেছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন উক্ত এলাকার কারিমুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ও আবু হানিফ। অপরদিকে, দায়ীত্বরত গ্রামপুলিশ মমিনুলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, উপরুক্ত বিষয়গুলি সম্পূর্নরূপে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। একটি কুচক্রি মহল ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছিল। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়ে আবারো আমাকে সমাজের কাছে হেওপতিপূর্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সবসময় পুলিশ প্রশাসন আসামি ধরতে আসলে আমাদের সঙ্গে নিয়েই অভিযান চালায়। এই কারনেই আমার উপর এই অভিযোগকারীদের আক্রোশ।