
মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ক্রাইম রির্পোট | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » এবার প্রকাশ্যে এলো, টেকনাফ থানার তিন তলায় ট’র্চার সেল বানিয়েছিল ওসির টিম
এবার প্রকাশ্যে এলো, টেকনাফ থানার তিন তলায় ট’র্চার সেল বানিয়েছিল ওসির টিম
Bijoynews : সাবেক মেজর সিনহার ঘটনার পর থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে আর এই সকল অভিযোগ আগে কেউ বলতে সাহস পেত না বলছে ভুক্তভোগীরা। এমনকি সাধারণ মানুষদের ধারে নিয়ে পাখির মত শেষ করতেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এছাড়া অর্থ আদায়ের জন্য নানা রকম মিথ্যা মামলা দিতেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হলেও তারা এই ওসির বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পেত না। তবে সিনহার ঘটনার পর ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ও তার টিমের অনেকে গ্রেফতার করার পর থেকে অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। আর এবার জানা গেল এই ওসি প্রদীপ কুমার টিম থানায় একটি ট’র্চার সেল বানিয়েছিল। এখানে নিয়ে অনেক মানুষকে নান ভাবে নি/র্যা/তন করা হত।
২০১৯ সালের তিন ডিসেম্বর। কক্সবাজার আদালত পাড়া থেকে আব্দুল জলিল নামে এক সিএনজিচালককে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকে কিছু ব্যক্তি। একইদিনে নিরুদ্দেশ হন হ্নীলা ইউনিয়ন মৌলভী বাজার গ্রামের মৃ/ত সুলতান আহাম্মদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০)। টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা আবদুল জলিলের খোঁজে পাগলপ্রায় হয়ে যায় তার স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমসহ পুরো পরিবার। স্থানীয় পত্রিকায় ছাপানো হয় নিখোঁজ সংবাদ। তবে খোঁজ মিলছিল না কোনও। বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দফতরে খোঁজ নিয়েছিলেন ছেনুয়ারা বেগম। কিন্তু হদিস মিলছিল না। এর দুই মাস পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ থানা থেকে ছাড়া পাওয়া এক স্থানীয় ব্যক্তির কাছে ছেনুয়ারা নিশ্চিত হন তার স্বামী রয়েছে ’ওসির টিম’-এর কাছে। ওসির নাম প্রদীপ কুমার দাশ।
ভুক্তভোগী পরিবারটির দাবি, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে এরপর যোগাযোগ করলে প্রথমে স্বীকার করেননি তিনি। এরপর আব্দুল জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদকে হু/মকি দিয়ে বলেন, ’তোমার ভাই বড় মা/দ/ক ব্যবসায়ী, যদি জী/বিত চাও ৩০ লাখ টাকা নিয়ে আসো।’ তবে দাবি করা টাকা জোটাতে পারেনি আটক হওয়া আবদুল জলিলের পরিবার। এরপর গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের মহেশখালী পাড়া এলাকায় কথিত ’ক্র/স/ফা/য়া/রে’ নি/হত/ হন আবদুল জলিলসহ সাদ্দাম হোসেন।
কথিত এই ব/ন্দু/কযু/দ্ধ বা ক্র/স/ফা/য়া/রে/র বিষয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মা/দ/ক উদ্ধারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ই/য়া/বা কার/বারিদের ’ব/ন্দু/ক/যু/দ্ধে/’র ঘটনা ঘটে। মা/দ/ক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ করে গু//লি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গু//লি ছোড়ে। এসময় দুই মা/দ/ক কা/রবারি নি/হ/ত হয় ও তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ই/য়া/বা, দুটি দেশীয় অ//স্ত্র, ৬ রা/উন্ড তা/জা কার্তুজ ও ৮ রা/উন্ড গু//লির খোসা উদ্ধার করা হয়।
তবে এতদিন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বা তার গঠন করা ’ওসির টিমের’ বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না ভুক্তভোগী পরিবারটির। ওসি প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নি/হ/তে/র স্বজনরা এ ঘটনায় বিচারের আকুতি জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন। তারা দাবি করেন, টানা আট মাস থানার ভেতরে বানানো ট/র্চার সেলে আব্দুল জলিলকে আটকে রেখে নি/র্যা/তন করার পর গত ৭ জুলাই তাকে নি/র্মমভাবে হ//ত্যা করা হয়েছে। এতদিন ধরে থানার ’ওসির টিমের’ হাতে আটক করে রাখা হলেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাকে আটকে রাখার কথা স্বীকারও করা হয়নি। গো/পনে আটকে রেখে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। দিতে না পারায় তাকে ’ক্র/স/ফা/য়া/রে’ দেওয়া হয়েছে। যদি অপরাধীও হয়, তাকে আটকে রেখে বিনা বিচারে এভাবে মে/রে ফেলার অধিকার ওসিকে কে দিয়েছে?
কথিত ’ক্র/স/ফা/য়া/রে’ নি/হ/ত জলিলের স্ত্রী ছেনুয়ারা এসময় কান্নার জড়িত কণ্ঠে বলেন, ’গত বছরের তিন ডিসেম্বর আমার স্বামীকে আটকের পর থানায় ৮ মাস টর্চার সেলে নি/র্যাতন শেষে চলতি বছরের ৭ জুলাই গু//লি করে হ//ত্যা করে পুলিশ। আমার স্বামী এমন কী অপরাধ করেছিল, তাকে এমনভাবে গু//লি করে মা/রতে হয়েছে?’
তিনি বলেন, তার স্বামী একজন সিএনজিচালক ছিলেন। দুই সন্তান নিয়ে স্বল্প আয় নিয়ে তাদের সংসার ছিল সুখের। এর মধ্যে সংসারের আয় বাড়াতে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বিদেশ পাড়ি দেওয়ার সুযোগ হয়নি তার।
ছেনুয়ারা জানান, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার আদালত পাড়া থেকে তার স্বামীকে আটক করে। সেই খবর পাওয়ার পর পরই স্বামীর সন্ধানে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দফতরে খোঁজ নিয়ে লাভ হয়নি। দুই মাস পেরিয়ে হঠাৎ থানা থেকে ছাড়া পাওয়া এক স্থানীয়ের কাছে নিশ্চিত হতে পারি ’ওসির টিম’র কাছে তার স্বামী রয়েছে। স্বামীকে ছাড়াতে তাদের কাছে কান্নাকাটি করে কোনও লাভ হয়নি। এমনকি স্বামীর নিখোঁজের সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। প্রায় ৮ মাস পর পুলিশ মা/দ/ক ব্যবসায়ী বলে স্বামীকে ’ক্র/স/ফা/য়া/র’ দেখিয়ে হ//ত্যা করে। আমার স্বামী একদিনের জন্যও মা/দ/ক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না। আমি এই হ//ত্যা কা/ন্ডের বিচার চেয়ে ওসির সহযোগীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
নি/হ/ত জলিলের বড় ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, ’দীর্ঘ পাঁচ মাস আগে তার ভাইয়ের খবর নিতে থানা পুলিশের কাছে যান। এসময় ওসি প্রদীপ হুমকি দিয়ে বলে তোমার ভাই বড় মা/দ/ক ব্যবসায়ী, যদি জীবিত চাও ৩০ লাখ টাকা নিয়ে আসো। তখন ওসি সাহেবকে বলেছি এত টাকা আমরা কোথায় পাবো স্যার। আমরা গরিব মানুষ, আমার ভাই কোনোদিন মা/দ/ক ব্যবসায় জড়িত ছিল না, সে সিএনজি চালিয়ে সংসার চালায়। কিন্তু ওসি কোনও কথা শোনেননি। দীর্ঘ ৮ মাস নি/র্যাতনের পর ৭ জুলাই পুলিশ ’ক্র/স/ফা/য়া/র’ দেয় আমার ভাইকে।
আরেক ভুক্তভোগী টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার বেলুজা ও আমিনা খাতুন বলেন, ’৫ জুলাই দিন দুপুরে টেকনাফ থানা পুলিশের এএসআই নাজিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘরে ঢুকে আমিসহ ঘরের লোকজনকে ব্যাপক মা/র/ধ/র করে। এরপর আলমিরা ভে//ঙে দুই ভরি স্বর্ণ, দেড় লাখ টাকা ও জায়গা জমির কাগজ পত্র লুট করে। এসময় তাদের ওপর নি/র্যা/ত/ন চালিয়ে টে/নে/হিঁ/চড়ে পরিবার সদস্য কবির আহমদসহ তাদেরকে থানায় নিয়ে ব্যাপক মারধর করে।
তারা আরও বলেন, ’এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়ার নামে নগদ দুই লাখ টাকা ঘুষ নেয় পুলিশ অফিসার নাজিম। তবে ১শ’ পিস করে ই/য়া/বা দিয়ে কারাগারে চালান দেয়। দেড় মাস কারাভোগ শেষে আমরা দুজন জামিনে বেরিয়ে আসলেও এখনও কারাভোগ করছে পরিবারের আরেক সদস্য কবির। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
এই এএসআই নাজিম ’ওসির টিম’ এর সদস্য কিনা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত টেকনাফ থানায় ওসি (অপারেশন) পদে ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ। তার নেতৃত্বাধীন টিমটিকে ’ওসির টিম’ বলা হতো। এই টিমে থানার কয়েকজন কর্মকর্তাসহ পুরো থানা এলাকাজুড়ে অনেক সোর্স জড়িত রয়েছেন। থানায় এছাড়াও ওসি (তদন্ত) বলে আরেকজন ওসি দায়িত্বরত আছেন। তার টিমের বিরুদ্ধেও আছে নানা অভিযোগ। তবে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার নেতৃত্বাধীন ওসির টিমের বিরুদ্ধেই সাধারণ মানুষের অভিযোগ বেশি। এই টিমের নেতৃত্বে থানার তিন তলায় ’টর্চার সেল’ পরিচালনার অভিযোগও করেছেন অনেক ভুক্তভোগী।
এমনই একজন ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম ওরফে কাজল। এ বছরের শুরুতে মা/দ/ক চো/রা/চা/লা/নের অভিযোগে এই নারীসহ তার ভাই আবদুর রহমান এবং স্বামী আবদুল কাদেরকে আটক করেছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাস। দুই দিন থানায় আটকে রেখে নি/র্যা/তনের পর ফরিদা বেগম ওরফে কাজলকে ই/য়া/বা দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। তবে বাঁচতে পারেননি কাজলের ভাই আবদুর রহমান এবং কাজলের স্বামী আবদুর কাদের। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পড়েও কথিত ’ক্রসফায়ারে’ নিহত হন তারা।
এ প্রসঙ্গে ফরিদা বেগম ওরফে কাজল বলেন, ’ঘর থেকে আমাদের তিনজনকে জোর করে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থানা ভবনে তিনতলায় একটি কক্ষে আলাদা করে আমাদের ওপর ব্যাপক নি/র্যা/ত/ন চা/লায়। এসময় আমাকে চোখ মু/খ বেঁ/ধে মা/র/ধ/র করে। এতে মুমূর্ষু হয়ে পড়ি। এরপরের দিন ৩শ’ পিস ই/য়া/বা দিয়ে কক্সবাজার কারাগারে পাঠায়। এসময় আমার গ/লায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিল সেটি থানার কম্পিউটার অপারেটর রাজু জোর করে নিয়ে নেয়। তখনও জানা ছিল না আমার ভাই আবদুর রহমান এবং স্বামী আবদুর কাদের এর পরিণতি কী হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ’পরের দিন জানতে পারলাম তারা দুইজনকে গু//লি করে হ//ত্যা করা হয়েছে। শুনে আমার হাত-পা অবশ হয়ে পড়ে। ভাই মিস্ত্রি ও স্বামী সিএনজিচালক ছিলেন। কী এমন দোষ ছিল তাদের গু//লি করে মা//রা হয়েছে? আমাদের থাকার মতো একটি ঘরও ছিল না। আমরা কেমন করে ওসির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দেবো?’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,’এইখানে এমন ব/র্বরতাই চলছিল ওসি প্রদীপের আমলে।’
এদিকে টেকনাফের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিশ্বস্ত দুটি টিমের মাধ্যমে ওসি প্রদীপ তার সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রদীপের টিমের নাম ছিল ’ওসির টিম’। টিমের সদস্যদের দিয়ে প্রদীপ তার নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। প্রদীপের বিশেষ টিমে ছিলেন এএসআই সজিব দত্ত ওরফে সঞ্জিত, মিঠুন ভৌমিক, কনস্টেবল সাগর দে, নামজুল ও রাজু মজুমদার। আরও ছিলেন এসআই সুজিত, এসআই মশিউর, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আমির, রাম, কাজী মোহাম্মদ সাইফ এবং কনস্টেবল রুবেল, মিথুন ও শরিফুল। এসব পুলিশ কর্মকর্তারা লোকজনকে আটক করে রাতে থানার তিন তলায় টর্চার সেলে নিয়ে যেতেন। এই টর্চার সেলে নিয়ে দাবি করা টাকা না পেলে অনেককে মেরিন ড্রাইভে নিয়ে ’ক্র/স/ফা/য়া/র’ দেওয়ার হু/মকি দিতেন।
বিশেষ করে সঞ্জিত, মিঠুন ভৌমিক ও সাগরদের দায়িত্ব ছিল টাকা আদায় না হলে লোকজনদের ধরে এনে মারধর করে ইয়াবা, অস্ত্র ও গু//লি সামনে রেখে দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা। এরপর আরও অনেকের নাম তাদের মুখ থেকে বের করতেন তারা। পরে সেসব ব্যক্তিকে টার্গেট করত পুলিশ। তাদের হাতে টেকনাফের শত শত নিরীহ মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা এখন এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওসি প্রদীপ টেকনাফে যোগদান করেন। সেসময় থেকে চলতি বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত ’বন্দুকযুদ্ধে’ শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে রো/হি/ঙ্গা ছিল ৩৭ জন। এসব ঘটনায় ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮০ পিস ই/য়া/বা ও পি/স্ত/ল ৮টি, এ/ল/জি ৪০৮টি এবং ১৪শ’টি গু//লি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, ’প্রদীপ ও তার সঙ্গীরা থানায় তাদের ট/র্চার সেল বানিয়েছিলেন। তারা যাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টাকায় করতে পারতেন না তদের ট/র্চার সেল থেকে ক্র/স/ফা/য়া/র দিতে মেরিনড্রাইভ নিয়ে যেতেন। এমন ঘটনা টেকনাফে অহরহ।’
তবে থানার ভেতরে তিন তলায় ’ট/র্চার সেল’ করে নি/র্যা/তন আর থানার সব কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ’ওসির টিম’ গঠন করার বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষের কেউ মুখ খোলেননি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কয়েকজন ওসির সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হ//ত্যা মামলার আসামি আর বাকিরা কারও ফোন ধরছেন না। সূত্র:
পূর্বপশ্চিমবিডি
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে সাবেক মেজর সিনহাকে শেষ করে ওসি প্রদীপের টিম। এরপর থেকে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। এদিকে, এই সাবেক মেজর সিনহার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সিনহার মাকে ফোন করে এই কথা বলেছেন। এছাড়া এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এই সিনহার ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বাকি দুইজন কে তা নিয়ে বেশ আলোচনা দেখা দিয়েছে। এমনকি তারা পুলিশ না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এদিকে, ওই বাকি দুইজন আসামি আত্মসমর্পণ না করলে তাদেরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর বর্তমানে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে ওই এলাকার মানুষেরা নানা রকম অভিযোগ করছেন