
বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | ক্রাইম রির্পোট | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » কুষ্টিয়ায় দুলাভাইকে বাবা সাজিয়ে প্রতারণা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিলেন সৎ ভাই ও মা….!
কুষ্টিয়ায় দুলাভাইকে বাবা সাজিয়ে প্রতারণা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিলেন সৎ ভাই ও মা….!
Bijoynews , কুষ্টিয়া, ২৯জুলাই, ২০২০।। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা মন্ডলপাড়া সৎ দুই ভাইকে ফাঁকি দিয়ে পাশ্ববর্তী দুলাভাইকে বাবা সাজিয়ে ১২ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ সৎ মা ও তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পাশ্ববর্তী দুলাভাই মজিবার (৬০) নামের এক ভ্যানচালক।
প্রতারক তিনভাই হলেন-কোরবান আলী, মুক্তার আলী ও আব্দুর রহমান এবং মা জফিরিন নেছা।
অসহায় সৎ দুই ভাই আজিজুল হক রানা ও আলামিন আলী। এরা বিচারের আশায় বিভিন্ন দারে-দারে ঘুরছে। এদিকে কোরবান আলী জমি জালিয়াতি কথা শিকার করেন। তিনি বলেন যখন ধরা পড়ে গেছি গোপন করে লাভ নেই। আমি আমার ভাইদের সাথে ঠিক করে নেবো। কিভাবে এই রকম জালিয়াতি করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা জানার দরকার নেই। যে সবকিছু ঠিক করে দিয়েছিল সে এবং রেজিষ্ট্রার দুই জনই মারা গেছে।
মজিবরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার এনআইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে যায় কোরবান আলী। সে আমাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করিয়ে দেবে বলে নিয়ে যায়। এখন শুনছি সেই ছবি ও এনআইডি কার্ড দিয়ে তারা প্রতারনা করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। আমাকে কোরবান দুলাভাই বলে ডাকে। দলিলে আমি কোন স্বাক্ষর করি নি।
জানা যায়, দহকুলা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী মন্ডলের প্রথম পক্ষের ছেলে আব্দুর রহমান, কোরবান আলী, মুকতার আলী এবং স্ত্রী জফিরন নেছা।
পিয়ার আলী মন্ডল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান রয়েছে। তারা হলেন-আজিজুল হক রানা ও আলামিন।
এ ব্যাপারে আব্দুর রহমানের সৎ ভাই আজিজুল হক রানা জানান, আমার পিতা পিয়ার আলী মন্ডল ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি মারা যান। এরপরে আমরা জানতে পারি আমাদের দুই ভায়ের ফাঁকি দিয়ে আমার সৎ তিন ভাই ও আমার সৎ মা বাবার সমস্ত জমি দহকুলা গ্রামের ভ্যানচালক মজিবুর রহমানকে বাবা বানিয়ে লিখে নিয়েছে। কুষ্টিয়া রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ ৬০ লাখ টাকা দামের দলিল করা হয়। যার দলিল নং- ৩০৮০। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়িনের আরএস শিমুলিয়া মৌজার ধানী-ভিটা-বাঁশঝাড় ও বাড়ির জমি অবৈধভাবে রেজিস্ট্রি করে নেয়।
জানা যায়, ২০১০ সালে দহকোলা গ্রামে নাসির ও আকবার নামের দুজনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রধান আসামি প্রতারক ভ্যান চালক মজিবর কোরবান আলী, মোক্তার আলি ও আব্দুর রহমান। এখনো মামলা বিচারীন রয়েছে। এরা দহকুলা এলাকার ভয়ংকর সন্ত্রাসী। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলে না। মরহুম পিয়ার আলীর দুই ছেলে কুরবান আলী ও রহমান আলী। পিয়ার আলীকে গত ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাইনিস কুড়াল দিয়ে ডানপায়ে কোপ দেয় এবং মুখে আঘাত করে দাত ভেঙ্গে ফেলে। কারণ তার এই ছেলেরা পিয়ার আলী মন্ডলকে দহকুলা চুলকানীর বাজারে ২২ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বলে। এ ঘটনায় পিয়ার আলী অস্বীকার করলে এ ঘটনা ঘটায় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পিয়ার আলী মন্ডল এই ঘটনার পর দুই ছেলে কোরবান আলী ও রহমান আলীকে তাজ্যপুত্র করে দেয়।
দহকুলা এলাকাবাসী জানান, অবৈধভাবে জমি রেজিস্ট্রিকারী মজিবর ও জমি দখলকারী কুরবান আলী রহমান আলী মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে এলাকার জনগণ বিচারের দাবিতে ফুশে উঠেছেন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।