
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ জগত | কুষ্টিয়ার সংবাদ | ক্রাইম রির্পোট | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » কুষ্টিয়া মিরপুরে শাহিনা হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ
কুষ্টিয়া মিরপুরে শাহিনা হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ
মিরপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর একজন অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এর প্রায় আড়াই মাস পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ক্লু-লেছ মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম।
ওসি আবুল কালাম জানান, ওই অজ্ঞাত নারীর নাম শাহিনা খাতুন (৩২)। সে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাধ গ্রামের মহব্বুল মন্ডলের স্ত্রী। ঘটনার দিন ওই হত্যার মূলহোতা উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের লোকমান শাহ’র ছেলে সেলিম। সে মোবাইল ফোনে শাহিনাকে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের ক্যানাল পাড়ে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে দুই সঙ্গি নিয়ে শাহিনাকে রাতভর ধর্ষণ করে। এরপর ওই নারীকে হত্যা করে নওদাপাড়ার জনৈক লুৎফর রহমানের পারিবারিক গোরস্থানের পশ্চিম পাশের বাগানের মধ্যে দুই হাত পিচমোড়া করে গামছা দ্বারা বাঁধা ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উপুড় করে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় শাহিনার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় ভিকটিমের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় নিশ্চিত হই। এর আড়াই মাস পর (১৮ ফেব্রææয়ারি) হত্যাকান্ডের মূলহোতা সেলিমকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।
সেলিম জানায় ঘটনার রাতে সে ও তার আরো তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে তার সাথে নওদাপাড়া গ্রামের মৃত হান্নান শেখের ছেলে শিহাব আলী (৩৮) রহমত মন্ডলের ছেলে শাহানুর ইসলাম ওরফে বুড়ো (৩২) আব্দুল মালেকের ছেলে ময়নাল (২৮) ছিলো। সে আরো জানায় ধর্ষণের পর শাহিনাকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের পরিবহনে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। শাহিনা তাতে রাজি না হয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার থামানোর জন্য জোর করে বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। তাতেও সে চুপ না করায় এক পর্যায়ে শাহানুর ইসলাম ওরফে বুড়ো শাহিনার গলার ওড়না প্যাঁচিয়ে ধরে। শিহাব আলী গামছা দিয়ে দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। ময়নাল তার মাথার চুল এবং সেলিম দুই পা চেপে ধরে হত্যা নিশ্চিত করে।
ওসি আবুল কালাম জানান, তিন আসামীকে আদালতে সোপর্দ করেছি। এর মধ্যে সেলিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।