
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়ার সংবাদ | জাতীয় সংবাদ | নারী ও শিশু নির্যাতন | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » কুষ্টিয়ায় তালাক দেয়া ২য় স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার সময় আটক হল শিক্ষক
কুষ্টিয়ায় তালাক দেয়া ২য় স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার সময় আটক হল শিক্ষক
Bijoynews :
নিজের তালাক প্রাপ্তা ২য় স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর সময় ১ম স্ত্রীর হাতে ধরাপড়ে উত্তম মাধ্যম এর পর মাদ্রাসা শিক্ষক কে খোকসা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে । দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর মোজাম্মেল হক দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মোছাব্বুল হক প্রাগপুর গ্রামের পন্ডিত আলীর ছেলে।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা আড়াইটার সময় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর মোজাম্মেল হক দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক মোঃ মোছাবুল হক (৪৩) প্রথম স্ত্রী দুই কন্যার জননী সুমাইয়া ইয়াসমিন (৩৮) এর অনুমতি ব্যতিরেকে মথুরাপুর মোজাম্মেল হক দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া আক্তার (১৯) কে গত দুই মাস আগে পালিয়ে বিয়ে করে।দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবার ঘটনাটি জানতে পারলে গত মাসে রিয়া তার পরিবারের পক্ষ থেকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।এদিকে বুধবার দুপুরে তালাকপ্রাপ্ত নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর আক্তারকে নিয়ে ঢাকায় পালানোর উদ্দেশ্যে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে এলে প্রথম পক্ষের স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন তার স্বামী মাদ্রাসার শিক্ষক মোছাব্বুল হক কে অনৈতিক কার্যকলাপ করার অপরাধে প্রকাশ্যে দিবালোকে উত্তম-মধ্যম দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খোকসা থানা পুলিশ কে মাদ্রাসা শিক্ষক মোছাব্বুল হক কে দেওয়া হয়। খোকসা থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার পিএসআই আব্দুর রহমান অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও কথিত তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রী কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা কম্পাউন্ডে নিয়েছে বলে জানাই।অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ মুজিবুল হককে এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন প্রথম স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে তিনি তার অভাব জানিয়ে গত দুই মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে পুলিশের কাছে বিয়ের কাবিল নামা বা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ পননি বলে জানান ডিউটি অফিসার। তবে প্রথম পক্ষের স্ত্রী দুই কন্যার জননী সুমাইয়া ইয়াসমিন তার স্বামীর এহেনও কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।