
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | ঢাকা | পজেটিভ বাংলাদেশ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংস্থার মধ্যে ৯১ লক্ষ টাকা অনুদান বিতরণ
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগী সংস্থার মধ্যে ৯১ লক্ষ টাকা অনুদান বিতরণ
Bijoynews : বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন ২৮ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কনফারেন্স রুমে ২৩৭তম প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদান ও পর্যালোচনা সভা আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনডিসি। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কর্মকর্তাবৃন্দ ও ৩৩টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। এ যাবৎ ১,১২০টি সহযোগী সংস্থার মধ্যে সর্বমোট ১৩৮.৮৭ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এ সভায় ৩৩টি সহযোগী সংস্থার মধ্যে ৯১ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এ অনুদানের অর্থে সহযোগী সংস্থাসমূহ ঘর নির্মাণ, গাভি, ছাগল ও ভেড়া প্রদান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ, স্যানিটেশন, ভ্যান প্রদান, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও তাঁত শিল্পে সহায়তা, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারের অর্থে দেশের জাতীয় পর্যায়ে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিওসমূহের মধ্যে অনুদান প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ সদর আলী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এমডিজি বাস্তবায়নে অবদান রেখেছে। এখন এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন সীমিত পরিসরে ও সাধ্যমতো সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ১২% হতদরিদ্র। এ হিসেবে প্রায় ২ কোটি। এ ২ কোটি হতদরিদ্রকে পিছনে ফেলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব না এবং উন্নয়নও টেকসই হবে না। একারণে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনএফ হতদরিদ্রদের উন্নয়নের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এনজিওসমূহের সাংগাঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য প্রশিক্ষণও প্রদান করে থাকে। বিএনএফ সীমিত পরিমাণে অনুদান প্রদান করে থাকে। এ অনুদানের অর্থ সঠিকভাবে ও বিএনএফ-এর উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
সভাপতি মহোদয় বলেন, মানুষকে মানুষ হয়ে লড়াই দীর্ঘকালীন লড়াই। মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা পাওয়া খুব বেশী দিনের আগের না। মানুষের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের খুব কম মহামানবই ভেবেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেই মহামানবদের একজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মানবীয় মর্যাদা রক্ষা, সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা ও মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। সভাপতি বলেন, সহযোগী সংস্থাসমূহ হতদরিদ্রদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কিছু জনগোষ্ঠী নিজেদের গন্ডির বাইরে যেতে চায় না। এধরণের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের ধারায় আনা বেশ কঠিন। তাদেরকে সে জায়গা থেকে বের করে আনতে হবে। সেজন্য তাদেরকে মোটিভেশন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ধর্মীয়, সামাজিক, কৃষ্টি, ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, এখন এক যুগসন্ধিক্ষণ চলছে। রাষ্ট্র দারিদ্র্য বিমোচন করছে এবং বিশ্বাস করে দারিদ্র্য বিমোচন করবে। হঠাৎ করে উন্নয়নের সহজ পন্থা আমাদের কাছে নেই। একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে টার্গেট করে করণীয় নির্ধারণ করে সে মোতাবেক কর্মসূচি গ্রহণ করা এখন বিএনএফ-এর মূল লক্ষ্য। যা ভবিষ্যতে বিএনএফ-এর মডেল হিসেবে গণ্য করা হবে। সহযোগী সংস্থাসমূহের এখন কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিএনএফ সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব বলে তিনি আশা করেন।