
বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইভটিজিং / ধর্ষণ | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » দৃষ্টিহীন এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
দৃষ্টিহীন এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
Bijoynews : ষোল বছরের দৃষ্টিহীন এক ছা’ত্রী ধ’র্ষণের শিকার হয়েছে টানা চার মাস ধরে।এই কা’ণ্ডে অ’ভিযুক্ত হয়েছেন তারই দুই শিক্ষক। ওই দুই শিক্ষকও দৃষ্টিহীন। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৬২।ভারতের রাজকোটের মন্দির শহর আম্বাজিতে এ ঘটনা ঘটেছে।ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, গত মাসে দীপাবলির ছুটিতে পাটান জে’লার রাধানপুর তালুকায় নিজের গ্রাম প্রে’মনগরে গিয়ে বোনের কাছে সব খুলে বলেন ওই কি’শোরী।ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্কুলে যেতে চাইছিল না সে। এতে স’ন্দেহ হয় পরিবারের।
এক পর্যায়ে ওই ছা’ত্রী তার স্কুলের দুই শিক্ষক চ’মন ঠাকুর (৬২) ও জয়ন্তী ঠাকুরের (৩০) কুকী’র্তির কথা জানায়।এরপরই পরিবারের অ’ভিযোগের ভিত্তিতে মা’মলা দায়ের করা হয় অ’ভিযুক্ত শিক্ষকদের বি’রুদ্ধে।স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে গান শেখার জন্য গত জুলাইয়ে স্কুলটিতে ভর্তি হয় ওই কি’শোরী।স্কুলে বিশেষভাবে সক্ষম’দের ভোকেশনাল ট্রেনিং ও কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলের হোস্টেলে থাকতো মেয়েটি।
গত ৪ নভেম্বর পু’লিশের কাছে দায়ের করা অ’ভিযোগে বলা হয়েছে, ২ মাস আগে মিউজিক রুমে প্রথম মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করেন জয়ন্তী ঠাকুর।তিনদিন পর ওই একই ঘরে তাকে ফের ধ’র্ষণ করে চ’মন। এরপর নবরাত্রির আগে ফের জয়ন্তী মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করে।এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে যৌ’ন নি’র্যাতন।সহ্য করতে না-পেরে স্কুলের অন্য তিনজন শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েছিল মেয়েটি।আম্বাজির পু’লিশ পরিদর্শক জেবি আগরওয়াত বলেন, এ ঘটনায় আম’রা ত’দন্ত শুরু করেছি। অ’ভিযুক্ত শিক্ষকেরা পালিয়েছেন। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লা’শি।এদিকে ছা’ত্রীকে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগ ওঠার পর ওই দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
আরো পড়ুন খোকাকে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে রাস্তায় সুইপাররা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার লাশ নিজ বাসভবন থেকে দুধ খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সুইপাররা।
বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর) বিকেল সোয়া চারটায় সময় রাজধানীর দয়াগঞ্জের মিউনিসিপাল মার্কেট এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী সুইপার বলেন,সাদেক হোসেন খোকা ছিল আমাদের নগরপিতা।তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।তিনি আমাদের চাকরি দিয়েছেন। আমরা তাকে ভালোবাসি। আমরা শেষবারের মতো তাকে দেখার জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছি।
বিধান চন্দ্র নামে আরেক সুইপার নয়া বলেন, ‘খোকা সাব খুব ভাল মানুষ আছিলো। আমগো সুইপারগো লইগা অনেক কিছু করছে। এই লইগ্যা এই ভালো মানুষটাকেরে দেহার লাইগা দাঁড়াইয়া আছি।এর আগে সংসদ ভবনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর পর বৃহস্পতিবার পুর ১টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয় খোকার লাশ। সেখানে ৩য় জানাজা শেষে বিকেল ৪ টায় নগর ভবনে ৪ র্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সাবেক এই অভিবক্ত ঢাকার নগর পিতার।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ২৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপির এই অন্যতম প্রভাবশালী নেতার মরদেহবাহী ফ্লাইট। বিমানবন্দরে খোকার মরদেহ গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।গত সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাদেক হোসেন খোকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
এদিকে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখা ও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়াপল্টনে বিএনপি লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দুপুর ১২টার আগে থেকেই বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।এরপর বিকেল ৩টায় ঢাকা সিটি করপোরেশনে নিয়ে যাওয়া হয় খোকার লাশ। সেখানে চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে লাশ নেয়া হবে নিজ যাওয়া হয় তার নিজ বাসভবনে।
বাদ আসর ধুপখোলা মাঠে পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের মে মাসে সস্ত্রীক দেশ ছেড়েছিলেন একসময়ে ঢাকার এই দাপুটে নেতা। তখন থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।