
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | অপরাধ চিত্র | খুলনা | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » কুষ্টিয়া-কুমারখালী গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর বৈধভাবে সুলভ মূল্যে বিক্রি চলছে
কুষ্টিয়া-কুমারখালী গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর বৈধভাবে সুলভ মূল্যে বিক্রি চলছে
Bijoynews : কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার হিজলাকর উত্তর-মূল-গ্রাম গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা বৈধভাবে -সুলভ মূল্যে বিক্রি চলছে। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এলাকাবাসীর কোন প্রকার অভিযোগই আমলে নেন না প্রশাসন। যে কারনে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে ! এছাড়া কয়েক দফায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জেল জরিমানা করা হলেও সে জরিমানার পুষিয়ে নিতেই অবৈভাবে বালু উত্তোলন যেনো আরো বেরে যাচ্ছে।
গত সোমবার সরজমিনে হিজলাকর উত্তর-মূল-গ্রাম গড়াই নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্যে নদী থেকে বালু এস্কেলেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করে ড্রাম ট্রাক লোড করা হচ্ছে। পাশে বসে বালু খেকো মাসুদ রানার কিছু ক্যাডার বাহিনী। তাঁরা আমাদের ছবি তোলা দেখে বাঁধা দেওয়ায় চেষ্টা করে। পরে কৌশলে সেখান থেকে ফিরে আসা হয়।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর পাড় ভেঙে আমাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য এই রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার অনেক টাকা হয়েছে। সে নেতাদের সঙ্গে উঠাবসা করে। এই জন্য আমাদের মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
এদিকে বালু খেকো মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন নতুন কিছু তথ্য দেন। তিনি বলেন আমার তোলা বালু দিয়ে সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজ করে উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দিয়ে আমি বালু উত্তোলন করি। কিন্তু কিছু সাংবাদিক নিউজ করার কারণে মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জরিমানা করে ইউএনও। ইউএনও তাদের কাজের জন্য যে বালু নেয় সেই বালুর কোন টাকা আমি নি না। মাঝে মধ্যেই ট্রাকের খরচ দেন ইউএনও। কিন্তু নতুন ইউএনও এসে আমার কাছ থেকে বালু নেয়নি।
এদিকে কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে বেশ কিছু অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত কয়েকদিন আগে কুমারখালী উপজেলার হিজলাকর উত্তর-মূল-গ্রাম গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছিলাম। এর পর আর বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কিনা জানাছিল না। আবার যদি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হয় তবে আরো কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।