
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রাজনীতি | শিরোনাম » অচেতন করে ধর্ষণ, ‘পুলিশ কনস্টেবল’ গ্রেফতার
অচেতন করে ধর্ষণ, ‘পুলিশ কনস্টেবল’ গ্রেফতার
Bijoynews : এক গৃহবধূকে অচেতন করে ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের একজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই পুলিশের নাম সাব্বির আহমেদ মেহেদী। সে চাঁদপুর হাজীগঞ্জ থানা মালিগাঁও এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড় পদ্মকুড়ি স্কুলের সামনে মো. মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ঘটনার শিকার গৃহবধূ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বিকালে অভিযুক্ত মেহেদীকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। ওই যুবক কনস্টেবল কী না তা তদন্ত করে জানানো হবে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ দুই সন্তানকে রাজধানীর একটি স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার সময় মেহেদীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ আগস্ট সাব্বির তাকে মুঠোফোনে ফোন করে জানান, জরুরি কথা আছে। তখন গৃহবধূ তার ভাইয়ের বাসা নারায়ণগঞ্জে আছেন বলে জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাব্বির একটি সফট ড্রিংকসের বোতল নিয়ে গৃহবধূর ভাইয়ের বাসায় যান। সফট ড্রিংকস খাওয়ার পর গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। তখন বাসায় কোনো লোকজন না থাকায় সাব্বির তাকে ধর্ষণ করেন এবং অশ্লীল ছবি তুলে রাখেন।
এরপর অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন সাব্বির। মানসম্মানের ভয়ে ওই গৃহবধূ তাকে দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারও দেন। পরবর্তী সময়ে সাব্বির আরও এক লাখ টাকার জন্য চাপ দেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গৃহবধূর মুঠোফোনে অশ্লীল ছবিগুলো পাঠিয়ে দেন সাব্বির।
ধর্ষণের শিকার নারীর ভাই বলেন, আমাকে ডিবি জানিয়েছে অভিযুক্ত মেহেদী ডিএমপির পুলিশ কনস্টেবল। কিন্তু কোন এলাকার তা স্পষ্ট করেনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন বলেন, এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে।
ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক জানান, মেহেদী নামের এক যুবককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সে পুলিশের কনস্টেবল কী না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।