
মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | ঢাকা | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » মাদারীপুরে ওসির নামে হত্যা মামলা
মাদারীপুরে ওসির নামে হত্যা মামলা
Bijoynews : মাদারীপুরের কালকিনি বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খবির মৃধা (৪৫) বোমার আঘাতে নিহতের ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের পিতা। এতে কালকিনি থানার ওসি, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনকে আসামি করেছেন।
রোববার দুপুরে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা, কালকিনি পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন, বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, হানিফ বেপারী, মশিউর রহমান রাজন, বাবু বেপারী, মুকুল বেপারী, আলী সরদার, বাদল তালুকদার, লাটু বেপারী, ওসমান বেপারী, খলিল ঘরামী, নাছির ঘরামী, গিয়াস উদ্দিন ফকির, খবির সরদার, সাঈদুল আকন, ফরিদ আকন, কুদ্দুস মাতুব্বর, মিরাজ ফকির, মালেক বেপারী, মিলন বেপারী, মজিবর ফকির ও আকরাম হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের খুনেরচর এলাকার ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যান।
পথে দক্ষিণ বাঁশগাড়ী ভাদুরী নামক স্থানে পৌঁছলে আসামিরা রামদা, ছেনদা, হাত বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্যের ওপর হাত বোমা নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইউপি সদস্য খবির মৃধার পিতা নুরু মিয়া বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক কালকিনি থানার ওসিকে মামলা এজাহার ভুক্ত করার আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার শিকদারের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দিনভর দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের এক পর্যায় ইউপি সদস্য হাত বোমার আঘাতে নিহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকার তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র মিরাজ ঘরামী নামের এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের কব্জি ও বাম পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাত পাঠক বলেন, আদালতে যেহেতু মামলা হয়েছে, এর আদেশের কপি না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। কালকিনি থানার ওসির নাম মামলার এজাহারে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। আদালত যেভাবে আদেশ দেবেন আমরা সেভাবে আইন অনুযায়ী মামলার কাজ করবো।