
শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » দৌলতপুরে দুই মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা ও হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে এস আই সাইফুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
দৌলতপুরে দুই মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা ও হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে এস আই সাইফুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
নিজস্ব প্রতিনিধি | কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাদক ব্যবসায়ী শালিমপুর (কেপাল) গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে বিল্লাল হেসেন ও মহিষকুন্ডি সিরাজ মিস্ত্রীর ছেলে মেহেদী হাসান সাকবার মাদক ব্যবসা আড়াল করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। দৌলতপুর থানায় সাকবারের বিরুদ্ধে হত্যা, নাশকতা, মাদক মামলা সহ ছয়টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাকবারের ছোট ভাই আজমত এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় ৭টিরও বেশি মাদক মামলা রয়েছে। মহিষকুন্ডি মাঠপাড়া কাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসান সাকবার। এরপর থেকেই সাকবার পলাতক রয়েছে। আরো জানা যায়, সাকবার এলাকায় বড় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সাকবার মোটর সাইকেল গ্যারেজের অন্তরালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো বলে এলাকাবাসী জানান। হত্যা, নাশকতা,মাদক ও অন্যান্য মামলা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য মামলা অন্য দিকে প্রভাবিত ও নিজেরা বাঁচার উদ্যেশ্যে নাটক সাজিয়ে এসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে বলে এসআই সাইফুল জানান। এলাকাবাসী জানায়, এসআই সাইফুল মাদকের বিরুদ্ধে এলাকায় কঠোর অব¯’ান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র। এসআই সাইফুল আরো জানান, এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর এমন হীন কর্মকান্ড ও মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করায় তার তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাজ থেকে মাদক মুক্ত করতে হলে এই রকম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যব¯’ার আহবান জানান এলাকাবাসী। দৌলতপুর থানা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযাায়ী জানাগেছে, ১০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ঢাকা মেট্রো গ-১৯-০৬৬১ প্রাইভেট কারসহ বিল্লাল (৩৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। ০৩ মার্চ রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ই্উনিয়নের কৈপাল-শালিমপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানা পুলিশ উপজেলার কৈপাল-শালিমপুর এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের উপ¯ি’তি টেরপেয়ে প্রাইভেটকার থেকে দুইজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বিল্লালকে আটক করে। পরে পুলিশ বিল্লাললের দেহ তল্লাশি করে তার কাছে থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। সে সময় অপর আসামী কথিত গাড়ীর মাালিক বা ড্র্ইাভার পালিয়ে গেলে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে তার ভেতর থেকে ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় মাদক আইনে ২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং ০৫ তাং ০৩-০৩-১৯। মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাজিয়ে পুলিশের উ”চ বিভিন্ন দপ্তরে ্একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, সে কখনো মাদক ব্যবসা করেনা বা এ সম্পর্কে কিছুই সে জানে না, তিনি অভিযোগে আরো জানায় পুলিশ ২ লাখ টাকা চাইলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মাদকের মামলায় আাটক করা হয়। এবং সাদা কারটি তার ভগ্নিপতি বকুল হেসেনের, বিদেশ চলে গেলে তাকে গাড়ীটি দিয়ে যায়। অনুসন্ধানে জানাগেছে উক্ত নম্বরের সাদা কারটি পুলিশ জব্দ করা ২ মাস পার হলেও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই বা কোন মালিক গাড়ীটির দাবী করে নাই। ভগ্নিপতি বকুল সম্পর্কে জানাগেছে সে দৌলতপুর সিমান্তের ইনসাফ নগর সোনাতলা গ্রামের মৃত ঝড়– মন্ডলের ছেলে , সে একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বলে এলাকাবাসী জানায়। অনুমান ২ বছর পূর্বে র্যাব পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের সময় আতœগোপন করে। খোজ নিয়ে জানাযায় মাদক ব্যবসায়ী বকুল গ্রেফতার এড়াতে ঢাকাতে থেকে বিল্লালকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদক বহন ও বিক্রয় করতেছে। তবে গাড়ীটি তার ভগ্নিপপতির দাবী করলেও বৈধ কাগজ পত্র দাখিল করে প্রমান করে না কেন ? গাড়ী সঠিক আছে। ৫ মার্চ সংবাদটি বিভিন্ন পত্র প্রতিকায় ফলাও করে ছাপা হলেও কোন প্রতিবাদ আসেনি। সেটা নয় বরং প্রতি নিয়ত গাড়ীটি মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। মাদক ব্যবসাকে আড়াল করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে পুলিশকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে। এলাকার সচেতন মহল এই দুই চতুর মাদক ব্যবসায়ীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে। এ বিষয়ে বিল্লালের ও সাকবারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে মুঠো ফোনে তাদের পাওয়া যায়নি।