
শুক্রবার, ১৩ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » রাজশাহীতে কোচিং বাণিজ্য কি সকল আইনের উর্ধ্বে..?
রাজশাহীতে কোচিং বাণিজ্য কি সকল আইনের উর্ধ্বে..?
বিজয় নিউজ:
রাজশাহী ব্যুরো,হাবিব জুয়েল: রাজশাহী নগরীতে এখন কোচিং সেন্টারের ব্যবসা লাভজনক। প্রতি বছরে লাখ লাখ টাকা আয় হলেও সরকারকে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না। যা আয় তাই পকেটে। নিয়ম রয়েছে ছাত্রছাত্রী ভর্তির শতকরা সাড়ে ৪ ভাগ সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে। নিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স। কিন্তু নগরীর নামকরা হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নিলেও ট্যাক্স দেয় না।
আবার কোনো রকম শিক্ষার পরিবেশ না থাকলেও শুধুমাত্র ব্যাঞ্চ আর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েও গড়ে উঠেছে শতাধিক কোচিং সেন্টার। সবমিলিয়ে নগরীতে অন্তত দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার আছে। এগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি ছাড়াও শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদেরকেও কোচিং করানো হচ্ছে। আর এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে ঝুঁকছে নগরী ও নগরীর বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝুঁকছেন। আর তাদের নিকট থেকে গড়ে অন্তত প্রতি মাসে কোচিং সেন্টারগুলো আদায় করছে ১০ কোটি টাকা। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পরীক্ষার ফাঁদ পেতেই অন্তত ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর নিকট থেকে মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা।অথচ এদের কেউই সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স দেয় না।তবে তারা কি সকল আইনের উর্ধ্বে..?
এদিকে নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ভবনের দেয়ালগুলো ছেয়ে গেছে পোস্টার আর ফেস্টুন এবং বিশাল আকৃতির বিজ্ঞাপনে। আর এসব বিজ্ঞাপনের কারণে নগরীর ভবন ও দেয়ালগুলো হারাচ্ছে সৌন্দর্য, এমনকি ছাড় পাচ্ছেনা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালও।নগরীতে সান-ডায়াল, সান-রাইজ,ইউসিসি, ইউনিএইড, সানরাইজ, ফোকাস, উদ্ভাস, রেটিনাসহ বেশ কয়েকটি কোচিং
সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে কেবল বিশ্ববিদ্যলায় ভর্তি কোচিং-এর জন্যই গড়ে প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ শিক্ষার্থী কোচিং করছে। আর মাঝারি কোচিংগুলোতে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৫০০ করে শিক্ষার্থী।
এসব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে ব্যাচ তৈরি করে পাঠদান করানো হয়। প্রতি ব্যাচে থাকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ টি ব্যাচ করে পাঠদান করানো হয়।
সরকার ২০১২ সালের জুন মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে নীতিমালা জারি করে।ওই নীতিমালা জারির পর শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য এখন অনেকটা বৈধ হয়ে গেছে। নীতিমালায় কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারে যে নির্দেশনা রয়েছে, তার অপপ্রয়োগ হচ্ছে।
রাজশাহীতে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো,হাবিব জুয়েল: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বজ্রপাতে আরও চারজন আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের আতা নারায়নপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২), হাততৈড় গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ (৫০) এবং ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সৈত চন্দ্র (৩০)।
আহতরা হলেন, উপজেলার পুল্লাকুড়ি গ্রামের জালাল উদ্দিন (৪০), বারইপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আলিমন বেগম (৭০) এবং মোল্লাডাইং গ্রামের সমির উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (২৮)।
তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে বাগমারার ধামিনপুর গ্রামের রহিমা বেগম নামের আরও এক নারী বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। তাকেও উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনলাম। নিহতদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।’
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বেলা ৩টার দিকে মোহনপুরে একের পর এক বিজলি চমকাতে থাকে। পাশাপাশি বিকট শব্দে একের পর এক বজ্রপাত ঘটতে থাকে। এরই মধ্যে বজ্রপাতে তারা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির টিনের চালায় বজ্রপাত হয়।
নির্বাচনী সহিংসতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো,হাবিব জুয়েল: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় গত শনিবারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ মুন্তাজ আলী (৪৫) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুন্তাজের বাড়ি আউচপাড়া ইউনিয়নের সারন্দি গ্রামে।
তাকে নিয়ে গত শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। অন্য তিনজন হলেন সারন্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৩০), রমজান আলী (৪৫) ও কোন্দা গ্রামের জাহিদ হাসান (৩৪)। তারা সবাই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জান মোহাম্মদ ও বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান।