
মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়ার সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » কুমারখালি বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর
কুমারখালি বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর
বিজয় নিউজ: কুমারখালি, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর দুটি নির্বাচনী অফিস গুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাদিয়া জামিল কণার কর্মীরা।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পথসভা শেষ করে ফিরে আসার পর পরই কালোয়া বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম স্বপনের নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। জিয়াউল ইসলাম স্বপন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাদিয়া জামিল কণার সম্পর্কে আপন দেবর।
প্রত্যদর্শীরা জানান, সকালের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের একটি দল কয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাদিয়া জামিল কণার সমর্থনে কয়েকটি পথসভায় যোগ দেয়। দুপুরের দিকে কালোয়া বাজারে পথসভা করতে যায় আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা সেখান থেকে চলে আসার পরই পরই সাদিয়া জামিল কণার কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপনের অফিস ভাংচুর করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম স্বপন জানান, আওয়ামী লীগের নেতারা চলে যাওয়ার কালোয়া বাজার ও খলিশাদহ এলাকায় আমার দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে এ কাজ করেছে।
দেবরের অভিযোগ সম্পর্কে ভাবী সাদিয়া জামিল কণা জানান, আমার কোন কর্মী এ ঘটনায় জড়িত নয়। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া (সদর) সার্কেল মাহবুবউজ জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান জানান, পোষ্টার ছেঁড়া হয়েছে। অফিস ভাংচুর করা হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নে এক কর্মী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা উসকানীমূলক ব্ক্তব্য রাখার পর দিনই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়াও আরও কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব নৈরাজ্যের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতারা আগ্রাসী মনোভাবকে দায়ী করছে সাধারন লোকজন। কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও সদর উপজেলায় ২২টি ইউনিয়নে আগামী ৭ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।