
শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | ফটো গ্যালারী | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম | সংগঠন সংবাদ » মহান মে দিবসে বনপা’র শুভেচ্ছা : শ্রমিকদের উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি
মহান মে দিবসে বনপা’র শুভেচ্ছা : শ্রমিকদের উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি
বিজয় নিউজ:
প্রেসবিজ্ঞপ্তি : ১লা মে, মহান মে দিবস । এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা)’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মেহনতি মানুষের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বনপা’র প্রধান উপদেষ্টা,জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি, তরুণ প্রযুক্তিবিদ ড.জানে আলম রাবিদ,বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুল আলম স্বপন, বনপা’র সহ-সভাপতি, মুহিত চৌধুরী, নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাজু আহমেদ দিপু, মিজানুর রহমান হেলাল ,তারেকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. রোকমুনুরজামান রনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সরকার রুহুল আমীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম,সাইফুর রহমান তালুকদার, জুঁই চাকমা, প্রদীপ বড়ুয়া জয়, সেলিম ভান্ডারী, ওয়ালী উল্লাহ খান, সদস্য সুলাইমান মেহেদী হাসান, মিলাদ উদ্দিন মুন্না ওবায়দুল হক আবু চৌধুরী, প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলাম, খলিল উদ্দিন ফরিদ, প্রদীপ ঘোষাল তপু, মুরাদ হোসেন, ইকরামুল হক বেলাল, বিপ্লব চাকমা, জসিম উদ্দিন,সাকিব হাসান, সানোয়ার হোসেন সানু প্রমুখ ।
বনপা’র নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ হিসেবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা।
আমরা জানি ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার মেহনতী শ্রমিকশ্রেণী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীসহ আরো কয়েকটি ন্যায্য দাবী ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবন বিসর্জন দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব শ্রমিক আন্দোলনের সূচনা করেছিল। ১লা মে’র ঐ ধর্মঘট দিবসের আগে যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্বের কোথাও শ্রম আইন ছিল না। শ্রমিকদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার বলতেও কিছু ছিল না। তারা ছিল মালিকদের দাস মাত্র। তাদের কাজের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। ছিল না সাপ্তাহিক কোন ছুটি। ছিল না চাকুরীর স্থায়িত্ব ও ন্যায়সঙ্গত মজুরীর নিশ্চয়তা। মালিকরা তাদের ইচ্ছামত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিত। এমনকি দৈনিক ১৮-২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতেও বাধ্য করত শ্রমিকদের। এ অন্যায়, বঞ্চনা ও যুলুমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’-এর ১৮৮৫ সালের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীতে ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকা ও কানাডার প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক শিকাগোর ‘হে মার্কেটে’ ঢালাই শ্রমিক, তরুণ নেতা এইচ সিলভিসের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। শ্রমিকদের সমাবেশ চলাকালে মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী পুলিশ ও কতিপয় ভাড়াটিয়া গুন্ডা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিতভাবে গুলী চালিয়ে ৬ জন শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা ও শতাধিক শ্রমিককে আহত করে। কিন্তু এতেও শ্রমিকরা দমে যায়নি। শ্রমিকদের ইস্পাতকঠিন ঐ সফল ধর্মঘটের কারণে কোন কোন মালিক ৮ ঘণ্টা কর্ম সময়ের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়।
বনপা’র নেতৃবৃন্দ কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে ভালোবাসতেন এবং অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়, তারাতো মহান আল্লাহর কাছেও মর্যাদার অধিকারী।
শ্রমের মর্যাদা বুঝাতে গিয়ে সাড়ে ১৪শত বছর আগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ‘কারো জন্য স্বহস্তে উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার্য আর নেই। আল্লহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে স্বহস্তে জীবিকা অর্জন করতেন’। তাই তিনি এরশাদ করেছেন, তোমরা শ্রমিককের শরীরের ঘাম শুকানোর পূর্বেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও’।
কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকগণ উপযুক্ত মজুরী না দিয়ে যৎ সামান্য মজুরী দিয়ে অথবা মুজুরী না দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যে কারণে শ্রমিকদের রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে হয় । আমরা বনপা’র পক্ষ থেকে বলতে চাই আগামীতে কোন শ্রমিক যেন তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। আমরা সকল দেশের সরকারের কাছে দাবি জানাই মে দিবসের আগেই শ্রমিকদের যেন উৎসব ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয় । জয় হোক বিশ্বের সকল মেহনতি মানুষ শ্রমিক ভাই-বোনদের।