
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অনিয়ম-দুর্নীতি | জাতীয় সংবাদ | শিরোনাম | সিলেট » “শ্রীহট্ট” ইপিজেডের অধিগ্রহণকৃত ভূমির দলিল ও পরচা জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন
“শ্রীহট্ট” ইপিজেডের অধিগ্রহণকৃত ভূমির দলিল ও পরচা জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন
বিজয় নিউজ: মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : শেরপুরে “শ্রীহট্ট” ইপিজেডের অধিগ্রহণকৃত ভূমির দলিল ও পরচা জালিয়াতি করে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, জন প্রশাসন সচিব, সিনিয়র সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যানসহ একাধিক অনুলিপিসহ ভুক্তভোগি ভূমি মালিকরা অর্থনৈতিক জোনের প্রকল্প পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন “শ্রীহট্ট” ইপিজেড স্থাপনের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের ভূমির মূল্য পরিশোধ করার জন্য ২শত কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শেরপুর ইপিজেড এলাকাকে ঘিরে গজিয়ে উঠেছে একটি প্রতারক চক্র। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে ভৃমির মৃল্যবাবত ভূঁয়া নামে দলিল ও পরচা তৈরি করে সুলেমান মিয়াকে ১১ শতক ভূমির মালিক বানিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। আর এ কাজে সহায়তা করেন এল এ শাখার সার্ভেয়ার মো: হাবিবুর রহমান, জারি কারক আবদুস সালামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ঝরণা বেগম আব্দুল্লাহ মিয়া, বারমতিসহ কয়েকজন ভূমি মালিক তাদের দায়েরকৃত মিছ মামলা ৮৮/২০১৫-১৬ সৃজন করা হয় এবং ১১৮ নং বিবাদীর বিপক্ষে শুনানীর জন্য পরবর্তী তারিখ ১৩/০১/২০১৬ ধার্য্য করা হয়। ধার্য্য তারিখ ১৩/০১/১৬ ইং তারিখে উপস্থিত হলে এল এ শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন সার্ভেয়ার রুহুল আমিন এর স্বরনাপন্ন হতে বলেন এবং সেখান থেকে ধার্য তারিখ নেয়ার জন্য বলেন। সার্ভেয়ার রুহুল আমিন ধার্যকৃত তারিখ না দিয়ে সময় ক্ষেপন করতে থাকলে গত ২৬ জানুয়ারী মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে গত ১৫ মার্চ শুনানীর তারিখ ধার্যকরেন। মোঃ সামসু মিয়া পিতা আবদুস সোবহান সাকিন শেরপুর নামক একজন ভূক্তভোগি মৌলভীবাজারের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে মোকদ্দমা নং ২২/ স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করলে আদালত ১১৮ নং বিবাদী মৌলভীবাজারের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে বিবাদী করে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বর্ণীত বিষয় বস্তু ও গুরুত্ব বিবেচনা করে যেহেতু অত্র মোকদ্দমা দায়ের থাকাবস্থায় নালিশা ভূমির মধ্যে এল এ ১/১৪-১৫ নং মামলায় হুকুম দখলকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা ১১৮ নং বিবাদী যাহাতে বিবাদীগণ বা অন্য কাহাকেও প্রদান করতে না পারেন তদমর্মে ১১৮ নং বিবাদী ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন । আদেশে বলা হয়, এমতাবস্থায় বাদীর প্রার্থীত মতে এল এ ০১/১৪-১৫ নং মামলায় হুকুম দখলকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা ১১৮ নং বিবাদী পক্ষকে কিংবা অন্য কাহাকেও প্রদান করা হতে কেন অন্তর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ করা হবে না নোটিশ প্রাপ্তির ১৫দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দেয়া হয়। এল এ শাখার দায়িত্বে থাকা কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শতকরা ৫ ভাগ ২০ ভাগ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ কমিশন নিয়ে ভূঁয়া নামে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত ভূমি মালিকরা সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।