
বুধবার, ৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » আনন্দ বিনোদন | জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » ‘এখানে সব বয়সীই গান শিখতে পারবেন
‘এখানে সব বয়সীই গান শিখতে পারবেন
Bijoynews : গুণী সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। এরই মধ্যে অনেক জনপ্রিয় গান তিনি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। অনেক কালজয়ী গান সামিনা চৌধুরীর কণ্ঠে রয়েছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মানুষের হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেছে। তার সেসব গান এখনও মানুষের মুখে মুখে। সিনেমা হোক কিংবা অডিও- দু’ মাধ্যমেই সামিনা চৌধুরী সব সময় মানসম্পন্ন গানে বিশ্বাসী। আর ভালো গান করার ধারাবাহিকতা তিনি অব্যাহত রেখেছেন এখনও।
সব মিলিয়ে বর্তমানে কেমন আছেন? দিনকাল কেমন কাটছে? সামিনা চৌধুরী বলেন, বেশ ভালো আছি। দিনকালও ভালোই যাচ্ছে। গানের ব্যস্ততার মধ্যেই আসলে সময় কেটে যায়। এখনকার ব্যস্ততা কি নিয়ে? সামিনা চৌধুরী বলেন, গান নিয়েই ব্যস্ততা যাচ্ছে। নতুন গানের কাজ করছি। ক’দিন আগেই একটি বৃষ্টির গান করেছি। এর বাইরেও আরও কিছু ভালো গান করেছি। এগুলো সামনে প্রকাশ হবে। এদিকে সম্প্রতি একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন সামিনা চৌধুরী। তার বাবা কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী প্রয়াত হয়েছেন প্রায় ২৭ বছর হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যেই বাবার গান গাইতে দেখা যায় তাকে। এবার বাবার নামে একটি সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন তিনি। মাহমুদুন্নবী সংগীতনিকেতন নামের এই প্রতিষ্ঠানে এখন চারজন শিক্ষার্থী নিয়মিত গানের তালিম নিচ্ছেন। আপাতত নিজের বাসায় তালিম দেওয়ার কাজটি করা হচ্ছে বলে জানান সামিনা চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যখন ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় বিচারকাজ শুরু করি, তখন থেকেই অনেক প্রতিযোগীর অভিভাবক আমাকে একটি সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর অনুরোধ করেছিলেন। আমি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এক পর্যায়ে সেসব অভিভাবক জোরাজুরি করতে থাকেন। কিন্তু গান শেখাতে হলে অনেক সময় দিতে হয়। আমি তো দেশ -বিদেশের স্টেজ শো, নতুন গানসহ বিভিন্ন ব্যস্ততায় থাকি। এ কারণে সময় বের করতে পারিনি। তাই প্রথমে সেসব অভিভাবককে জানিয়েও দিয়েছিলাম, আমি পারব না। পরে অবশ্য অভিভাবকদের জোরাজুরি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে কারণে প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে বাধ্য হলাম। বাবার নামে সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি করার ভাবনা কিভাবে এলো? সামিনা চৌধুরী বলেন, একটি সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন চালু করব, তখন একটি সুন্দর নাম দেওয়া দরকার। আমার কাছে বাবার নামের চেয়ে সুন্দর আর কিছুই নেই। তাই তার নামটাই বেছে নিলাম। এখানে কারা কারা গান শিখতে পারবে? সামিনা চৌধুরী বলেন, এখানে সব বয়সীই গান শিখতে পারবেন। একটা যোগ্যতা কেবল থাকতে হবে। গলায় সুর থাকা চাই। বর্তমানে এখানে চারজন শিক্ষার্থী গান শিখছেন। চলতি সময়ে গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে আপনার? সামিনা চৌধুরী বলেন, আসলে এখন অবস্থাটা যেন কেমন। সবচেয়ে বেশি যেটা আমি অনুভব করি সেটা হলো সবাই যেন শিল্পী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শেখাতো দূরের কথা, কেউ গান গাইতে পারুক আর না পারুক শিল্পী তাকে হতে হবে। কিন্তু শিল্পী হওয়াটা কি এতই সহজ? এর জন্য দরকার গানের প্রতি ভালোবাসা, শেখার আগ্রহ, অধ্যাবসায়, পরিশ্রম, সততাসহ অনেক কিছু। আমি নিজে এখনও শিল্পী হয়ে উঠতে পারিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। সত্যি বলতে এ প্রজন্মের মধ্যে শেখার আগ্রহটা কম। তার চেয়ে বেশি আগ্রহ রাতারাতি তারকা হওয়ার। এ কারণে প্রকৃত শিল্পী হয়ে ওঠা আর হচ্ছে না। আমি চাইবো তারকা হওয়ার প্রতিযোগিতা বাদ দিতে। রাতারাতি তারকা হলে রাতারাতি পড়েও যেতে হয়। সুতরাং শেখার বিকল্প নেই। সারা জীবন শিখতে হবে।