
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | বক্স্ নিউজ | রংপুর | শিরোনাম » সুন্দরগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরিবাঁধে আশ্রিতরা এখন আশ্রয়হীন
সুন্দরগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরিবাঁধে আশ্রিতরা এখন আশ্রয়হীন
মোঃ নূরন নবী সরকার, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরিবাঁধে আশ্রিতরা এখন আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর- চিলমারী পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য সরকার তিস্তা নদীর উপর ৫’শ ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ গার্ডার সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেতুটির সাথে প্রায় ৫২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহন করা হলে ইতোমধ্যে সংযোগ সড়কগুলোতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিস্তা সেতু নির্মাণ স্থান থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সংযোগ বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধটিতে আশ্রিত নদী ভাঙ্গন কবলিত শতশত অসহায় পরিবার প্রায় ৩০/৩২ বছর থেকে মাথা গোজার ঠাই খুঁজে পেলেও বেরি বাঁধটি প্রশস্থকরনের কাজ শুরু হলে আশ্রিত পরিবারগুলো উচ্ছেদের মুখে পড়ে। এতে করে তারা আকষ্মিকভাবে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে কথা হয় ভুক্তভোগী কালু চন্দ্র দাস, গোপাল চন্দ্র, শুশিলা রাণী, অনিল চন্দ্র বর্মণসহ অনেকের সাথে। তারা জানান, তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বাপ-দাদার ভিটা-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে প্রায় ৩০/৩২ বছর ধরে বাঁধে নড়বড়ে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের ছন্নছাড়া করেছে। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ সকল অসহায় পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর বাস্তভিটার জন্য আবেদন জানালে হয়তো তাঁর মাধ্যমে সরকারিভাবে মাথা গোজার ঠাই পাবে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনসুর জানান, সরকারিভাবে বশত: বাড়ী স্থানান্তর কিংবা অন্যত্র নির্মানের জন্য সরকারী কোন ব্যবস্থা না থাকায় সকলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্যত্র বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। ওয়াবদা বাধে আশ্রিত কয়েক হাজার ছিন্নমুল লোকজন তাদের পূর্ন বাসনের জন্য মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।