
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | ঢাকা | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভাল নেই ৫৮টি আদিবাসী পরিবার
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভাল নেই ৫৮টি আদিবাসী পরিবার
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভাল নেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা। কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষেরা রয়েছে সরকারের দৃষ্টির অন্তরালে। সরকার যায়, সরকার আসে। কিন্ত ক্ষুদ্র এ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর আজও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবহেলিত এবং পিছিয়ে রয়েছে।
এ সব ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি পরিবারের সদস্যরা অর্ধহারে, অনাহারে, অভাব-অনটন, রোগ-শোকসহ নানা সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অভাব-অনটন, দুঃখ-দূর্দশা আর হতাশাই যেন এ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পল্লীর মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী।
গোপালগঞ্জ জেলার একমাত্র কাশিয়ানী উপজেলার বিশ্বনাথপুর, ব্যাসপুর ও মিরারচর গ্রামে ৫৮ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের বসবাস রয়েছে। যারা স্থানীয় ভাবে ‘বুনো’ সম্প্রদায় নামে পরিচিত। এদের মধ্যে ৭০ ভাগ পরিবার দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। শিক্ষায় পশ্চাৎপদতার কারণে তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ভারতের নাগারল্যান্ড রাজ্যের নাগদপুরের মালো সম্প্রদায়ের শতাধিক লোক কাশিয়ানীতে আসেন। লর্ড ডালহৌসির আমলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নীল চাষের সম্প্রসারণের জন্য তাদের কাশিয়ানীতে নিয়ে আসে। তারা উপজেলার ব্যাসপুর, বিশ্বনাথপুর ও মিরারচর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালে অনেকেই দেশ ত্যাগ করে নিজ ভূমিতে ফিরে যান। এখনও কাশিয়ানীর ওই সব গ্রামে ৫৮টি পরিবার বসবাস করছে। যারা দারিদ্রতার কষাঘাতে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ পরিবার নানা সমস্যায় জর্জরিত। পাটখড়ি আর পলিথিন ছাউনী দিয়ে তৈরী দোচালা ছাপড়া ঘরে রাতের বেলা কোন মতে মাথা গোঁজার চেষ্টা করছে। নেই কোন স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাটিন, বিশুদ্ধ পানিসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ সুবিধা। এ পল্লীতে লাগেনি কোন আধুনিকতার ছোঁয়া।
ওই গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে জীর্ণশীর্ণ দেহ নিয়ে পলিথিনের তৈরী ছাপড়ার সামনে বসে আছে এক নারী। কাছে গিয়ে নাম জানতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নাম বাসন্তি কর্মকার (৪০)। চার বছর আগে স্বামী মারা গেছে। অন্যের জায়গায় পাটখড়ি ও পলিথিনের ছাউনী দিয়ে বসবাস করছে। অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে যা পায় তা দিয়ে কোন মতে ছোট দু’টি সন্তান নিয়ে চলে তার সংসার।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক দুলাল কর্মকার জানান, তাদের মধ্যে অনেকের জমি বেদখল হয়ে গেছে। শিক্ষা না থাকায় ও সংগঠিত না হওয়ায় তারা বুঝতে পারছে না। তারা আইনী সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৯০ জনের কোন জমিজমা নেই। অনেকের কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে জমি নেই।
এ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির মানুষেরা খুব সহজ সরল ও সাদাসিধে জীবন যাপন করে। এ সুযোগে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা তাদের অনেক জমা-জমি দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এক সময় এ অঞ্চলের জমিদার থাকলেও এখন দিন মজুর আর ভূমিহীনে পরিণত হয়েছে। পথে বসেছেন অনেকে। অনেকে মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে জড়িয়ে পড়ছে ঋণের জালে। আবার অনেকে অত্যাচারিত হয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
এ জনগোষ্ঠির নারী-পুরুষেরা জঙ্গলে ঘুরে এক সময় বেজী, ইঁদুর, পাখি, খরগোশ, কচ্ছপসহ নানা ধরণের প্রাণি শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্তমান দিনমজুর, ইটভাঙ্গা, সেলুন, রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী ও গাড়োয়ানের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সুবল কর্মকার বলেন, এতো সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের সংস্কৃতি লালন পালন করে চলেছি। আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কালীপুজা ও মনসা পূজা। নিজেদের মধ্যে বিয়ে সাদি সম্পন্ন হচ্ছে।
কাশিয়ানী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ কর্মকার বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছরে দেশের অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির ভাগ্য। আমরা রয়েছি সরকারের সুদৃষ্টির অন্তরালে।
বিশ্বনাথপুর গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শ্যামল কর্মকার জানায়, এখানকার শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করলেও অর্থনৈতিক কারণে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত যেতে পারে না। সে আরো জানায়, শিক্ষার অভাবে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া ছেড়ে শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়ে।
কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর-বিশ্বনাথপুর আদিবাসী বহুমুখী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি দুলাল চন্দ্র কর্মকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউএনও মাহাবুবুর রহমান থাকা কালে কয়েকটি পরিবারকে টিউবওয়েল, ল্যাটিন, ও গরু বিতরণ করলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। কিন্তু এখন আর কেউ তাদের খোঁজ-খবর নেয় না। তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতাসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধাও দেয়া হয় না।
একই গ্রামের সুকুমার কর্মকার জানান, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছরেও আমাদের জন্য কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নী। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত অভাবের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছি। আমাদের দুঃখ-কষ্টের শেষ নেই।
মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যারা বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাচ্ছে না তাদের ভাতার আওতায় আনা হবে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পৌর নির্বাচনের তফশিল ঘোষনায় আনন্দ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পৌর নির্বাচনের তফশিল ঘোষনায় আনন্দ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এ মিছিল ও সভার আয়োজন করে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বর থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে ঘাঘর বাজার ঘুরে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে উপজেলা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও হিরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি আয়নাল হোসেন শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমীন খান, কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ক্যাপ্টেন গ্রুপের চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি বিশ্বাস স্বপ্নীল, ঘাঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পটু, কোটালীপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন, কোটালীপাড়া পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলিমুজ্জামান জামির, ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক ভিপি নাজমুল সরদার চপল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল শেখ, ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল মুন্সি, ছাত্রলীগ নেতা শামীম দাড়িয়া, ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ হিরো, ছাত্রলীগ নেতা রেজয়ান মুন্সি প্রমুখ্য।
এ ছাড়াও সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা আসন্ন কোটালীপাড়া পৌর নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কোটালীপাড়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামাল হোসেন কে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম শেখ (৬৫)। দীর্ঘ দিন যাবত ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাহীন ভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি। শহিদুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল বারেক শেখের ছেলে। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সনদ নং ম-৫১৪৩৯, মুক্তিবার্তা নং-০১০৯০৪১৪৫১।
পাঁচ সন্তানের জনক মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম শেখ জীবনের নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে জীবন যুদ্ধে এখন এক পরাজিত সৈনিক। ১৯৭১ সালে দেশ রক্ষায় স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কওে ছিলেন। আজ তিনি অর্থাভাবে নিজের জীবন রক্ষায় নিরুপায়। এক শতাংশ জমিও নেই যা বিক্রি করে তিনি চিকিৎসা নিবেন। সরকারি জায়গায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে করেন। সামান্য মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ যোগানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।
শহিদুল ইসলামের স্ত্রী জয়নাব বেগম জানান, গত ৮ মাস আগে অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। তার শরীরে ক্যান্সার হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। যা খুব দ্রুত এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। বাড়িতে রেখে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন তিনি।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: ইনায়েত হোসেন বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল না। তাকে বাঁচাতে হলে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার নবাগত ওসিকে উপজেলা প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার নবাগত ওসি মো: আজিজুর রহমানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাশিয়ানী উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুপুরে ওসি আজিজুর রহমানের কক্ষে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কাশিয়ানী উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাশিয়ানী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের কাশিয়ানী প্রতিনিধি শহিদুল আলম মুন্না, সহ-সভাপতি ও দৈনিক সমকালের কাশিয়ানী প্রতিনিধি সাদেক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর ও মাইটিভি কাশিয়ানী প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন (লিংকন), সহ-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক খবর পত্রিকার কাশিয়ানী প্রতিনিধি এম এ জামান, সাংবাদিক জামাল সরদার, সাংবাদিক কাজী কাফু, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
এ সময় ওসি মো: আজিজুর রহমান উপস্থিত সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে মো: আজিজুর রহমান কাশিয়ানী থানার দায়িত্ব বুঝে নিয়ে ওসি এ কে এম আলীনুর হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হন।