
মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | জাতীয় সংবাদ | প্রেম / পরকিয়া | বক্স্ নিউজ | শিরোনাম » ‘জিলানী আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব’
‘জিলানী আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব’
Bijoynews : কুমিল্লা তিতাস উপজেলার নাগেরচর গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক জিলানীর (২২) বাড়িতে ৫ দিন ধরে অবস্থান করে অনশন চালিয়ে আসছে প্রেমিকা ইয়াছমিন আক্তার (১৮)। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ওই বাড়িতে প্রেমিকাকে দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করছে।
প্রেমিকা ইয়াছমিন তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিক কান্দি গ্রামের আব্দুল বাতেনের মেয়ে। প্রেমিক জিলানী একই উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মৃত আজিবরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা য়ায়, ইয়াছমিন ও জিলানী তারা একে অপরের খালাতো ভাই-বোন। তাদের গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক এবং গত ৫ মাস আগে পারিবারিক ভাবে আংটি বদল করা হয়। একপর্যায়ে প্রেমিক জিলানী বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায় এবং দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
সম্প্রতি প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক জিলানী ও তার পরিবার অসম্মতি জানায়। ফলে বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকা জিলানীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান নিয়ে অনশন করে আসছে।
প্রেমিকা ইয়াছমিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জিলানীর বাড়িতে অবস্থান করার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন আমার উপর শারিরিক নির্যাতন করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়। তারা ঘরে তালা লাগিয়ে চলে য়ায়।
এসময় তিনি আরও বলেন, জিলানীর সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, নয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে আমাকে এমনটাই দাবি তার।
ইয়াছমিন আক্তার ও জিলানী
ইয়াছমিন আরও জানান, গত এক বছর যাবত আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় একত্রে বসবাস করে আসছি। তার সঙ্গে আমার দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে অনেক বার। তাই, এখন আমার আর ফিরে যাবার পথ নাই। তবে জিলানীর বড় ভাই প্রেমিকা ইয়াছমিনের একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ করে এ বিয়েতে জিলানীর অসম্মতির কথা জানান।
এছাড়াও ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোল্লার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুই দিন আগে মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানায় এবং ছেলের গ্রাম থেকেও আমাকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। তাই আমি বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে দুই পক্ষকে ডাকলে মেয়ের পক্ষ সময় মত হাজির হলেও ছেলের পক্ষ থেকে কেউ আসে নাই। ফলে এর সমাধান করাও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।