
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » শিরোনাম » দামুড়হুদার চিৎলায় নেশাখোর স্বামীর পিটুনিতে গৃহবধূ হাসপাতালে
দামুড়হুদার চিৎলায় নেশাখোর স্বামীর পিটুনিতে গৃহবধূ হাসপাতালে
বিজয় নিউজ: আব্দুর রহমান(জসিম),জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা :
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার চিৎলা গ্রামে স্ত্রীর নিকট মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে তা না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে মাদকাসক্ত স্বামী,শ্বশুর ও শাশুড়ী। অত্যাচারের শিকার গৃহবধু হাসপাতালে চিকিৎসাশেষে সামান্য সুস্থ্য হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কলোনি পাড়ার প্রান্তিক কৃষক ওলী মোহাম্মদের কন্যা তহুমিনা খাতুনের(৩০)সাথে একই উপজেলার চিৎলা গোরস্থান পাড়ার সামসুল মালিতার ছেলে ইব্রাহীম মালিতার (৩৫) গত ২০০৪সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও গৃহস্থালি সামগ্রী দেওয়া হয়। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে তাদের ২সন্তানের জন্ম হয়।তারপরও নতুন করে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে তার মেয়ের উপর অমানষিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। মেয়ের কথা ভেবে প্রায়ই জামাইকে সাধ্যমতো টাকা দেওয়া হতো। এর মধ্যে সে আরও টাকার জন্য নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।ঘটনার সময় গত শনিবার দুপুরে ইব্রাহীম তহুমিনা পুনরায় যৌতুক বাবদ ৪ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। টাকা এনে না দেওয়ায় রেখাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে। লাঠির আঘাতে গৃহবধুর শরীরের মাথা, চোখ, নাক, পিঠ, ঘাড় ও হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশে থেতলে গেছে। তাদের কোন কারণে টাকার প্রয়োজন হলেই তারা আমাকে পিতামাতার বাড়ী থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য নানাভাবে চাপাচাপি করতে থাকে এবং টাকা দিতে না পারলেই মারপিট করে থাকে। বাবা-মা আমার সুখের জন্য নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল দিয়েছে। বাপ-মা আর কত দিবে বলেন? আমার স্বামী ইব্রাহীম একজন মাদকাসক্ত। সে রাতের বেলা তাঁড়ী-মদ গিলে এসে আমাকে ঘরের ভিতর পুরে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে থাকে। গৃহবধু মরিয়ম প্রতিবেদককে তার মাথা দেখিয়ে বলেন,এই দেখেন কয়েক মাস আগে আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছিল।একইভাবে তাদের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমার বাপের বাড়ী থেকে ৪ হাজার টাকা যৌতুক বাবদ এনে দিতে বলে। কিন্তু আমি স্বামী,শ্বশুর ও শাশুড়ীর কথায় রাজি না হওয়ায় গত শনিবার দুপুরে আমি বাড়ীতে থাকাকালে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমার স্বামী একজন নিয়মিত নেশাখোর। আমি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আমি তার থেকে মুক্তি চাই।
এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে