
শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় সংবাদ | প্রেম / পরকিয়া | বক্স্ নিউজ » খুলনায় মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ
খুলনায় মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ
Bijoynews : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা নারী কং নং-৬৩৮৮’র ভাড়া বাসার গভীর রাতে এএসআই মো.মাহামুদুল হাসান কং নং- ৪৪৩০ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় নারী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়ার স্বামী মো. রবিউল ইসলাম ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে গত বুধবার অভিযুক্ত নারী কনস্টেবল ও এএসআইকে সোনাডাঙ্গা থানা থেকে বদলি করা হয়েছে। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, নারী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানাকে লবণচরা থানায় এবং এএসআই মো. মাহামুদুল হাসানকে রূপসা পুলিশ বক্সে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি ডিপার্টমেন্টালভাবে তদন্তনাধীন রয়েছে। তবে রাজিয়া ও তার স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহ ছিল বলেও জানান তিনি। রাজিয়া সুলতানার স্বামী খুলনা ওয়াসার কর্মচারী মো. রবিউল ইসলামের অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বৌ-বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৫৫/৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের সৈয়দ মঞ্জিলের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন রবিউল ও তার স্ত্রী পুলিশ কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা। আড়াই বছর বয়সের তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে রবিউল ওয়াসার পানির পাম্পের ডিউটিতে বের হন। এরপর রাত ২টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী রাজিয়াকে দরজা কুলতে ডাকাডাকি করেন। এসময় অন্যদিনের তুলনায় একটু ব্যতিক্রম কিছু উপলব্ধি করে রবিউল। তার স্ত্রী রাজিয়া দরজা খুলতে অনেক সময় নিচ্ছেলেন। একপর্যায়ে স্বামীর অতিরিক্ত ডাকাডাকির পর দরজা খুলে দেন। ঘরে ডুকে রকিবউল দেখেন তাদের শোয়ার একটি কক্ষের দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তিনি স্ত্রী রাজিয়াকে ওই কক্ষের দরজা খুলতে বললে সে স্বামীকে অপর একটি কক্ষে ঘুমানোর জন্য বলে। কিন্তু রবিউল ওই ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে স্ত্রী রাজিয়াকে। অবশেষে বেড়িয়ে এলো আসল রহস্য খাটের নিচে পাওয়া গেল একই থানায় কর্মরত এএসআই হাসানকে। রবিউল এ দৃশ্য দেখেই হতবাক হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে স্ত্রী রাজিয়া ও এএসআই হাসান দ্রুত তার গতি রোধের চেষ্টা করে। এসময় রবিউল চোর চোর বলে চিৎকার দিলে এএসআই হাসান তার গলা চেপে ধরে। রাত গভীর ঘরের মধ্যের শব্দ আশপাশের লোকজন শুনে ঘটনাস্থলে এসে স্বামী রবিউলকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ পরেই সোনাডাঙ্গা মডেল থানার টহল গাড়ি এসে এএসআই হাসান ও রাজিয়াকে নিয়ে যায়। সেই থেকে স্বামীর ঘরে আর ফেরেনি নারী কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা। এলাকাবাসী জানায়, প্রায় সময় এএসআই হাসান রাজিয়াকে মোটরসাইকেলে করে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যেত। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা দুজন সেদিন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছিল। শিশু কন্যা সন্তান নিয়ে এখন রবিউল ওই বাসায় রয়েছেন। তবে পুলিশের সহায়তায় পুলিশ থাকবে এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি।