
সোমবার, ২ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রেম / পরকিয়া | রাজশাহী | শিরোনাম » বগুড়ার শাজাহানপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে দু’দিন যাবত প্রেমিকার অবস্থান ॥ প্রেমিক পরিবারের পলায়ন
বগুড়ার শাজাহানপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে দু’দিন যাবত প্রেমিকার অবস্থান ॥ প্রেমিক পরিবারের পলায়ন
জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকার দু’দিন যাবত অবস্থান করায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রেমিক পরিবার। অবশেষে কোন সুরাহা না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই মেয়েটি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খলিশাকান্দি গ্রামে।
ভিকটিম খলিশাকান্দি দোগলাপাড়া গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের কলেজ পড়–য়া মেয়েটি জানায়, ৩ মাস পূর্বে খলিশাকান্দি পন্ডিতপাড়ার দুদু মিয়ার পুত্র শিহাবের (২৬) সাথে তার পরিচয়। কলেজে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই শিহাব তাকে উত্যাক্ত করতো। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। গত শুক্রবার মহাস্থানগড় এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে শিহাব তাকে কাহালু উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের শারিরিক মেলামেশাও হয়। একপর্যায়ে সেখান লোকজন তাদেরকে ধরে থানা পুলিশের হাতে দেয়। থানা পুলিশ উভয়ের অভিভাবকদের খবর দিলে শনিবার অভিভাবকেরা খোট্টাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ কাহালু থানায় যায়। সেখানে বিয়ের প্রতিশ্র“তিতে পুলিশ ছেলে-মেয়েকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়। চেয়ারম্যান ওইদিন রাতেই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের আলাদা ঘরে আটকে রাখে। পরের দিন রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে ছেলে পালিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যানের পরামর্শে ছেলের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে ছেলের পরিবার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। তখন থেকেই মেয়েটি ছেলের বাড়ির সামনে দিনরাত অবস্থান করছে। মেয়েটি আরো জানান, বিষয়টি সবাই জেনে গেছে। এখন আর সমাজে মুখ দেখানো যাবে না। শিহাব যদি তাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা বলেও জানায় মেয়েটি। এমতাবস্থায় মেয়ের জীবনের নিশ্চয়তা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে মেয়ের বাবা-মা।
মেয়ের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এতোক্ষন চেয়ারম্যান সাহেবের আশ্বাসের উপর ছিলাম। কিন্তু তিনি বিয়ের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এখন আদালতে মামলা করবো।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তা ভেস্তে যায়। এখন মেয়ের পরিবার কি করবে তা তাদের ব্যাপার।